সাত কলেজের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে নীলক্ষেতে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ৭ কলেজের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত পূর্বঘোষিত ঢাকা ব্লকেড কর্মসূচির পরও সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নীলক্ষেত, মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সড়ক অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নীলক্ষেত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

নীলক্ষেত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুই দিকে সারিবদ্ধভাবে পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সাত কলেজের অন্তর্ভুক্ত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনের সড়ক অবরোধ করেননি। মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। যান চলাচলও অনেকটা স্বাভাবিক আছে। তবে অন্য দিনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা কম।

 

এর আগে, রোববার (২৬ জানুয়ারি) ৫ দফা দাবি নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাবি প্রো-ভিসির সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তিনি ‘দুর্ব্যবহার’ করেছেন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। এমন অভিযোগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় অবরোধ করেন তারা। এ সময় প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

তাতে সাড়া না পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়ে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হয় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত সংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের প্রবেশমুখে অবস্থান নেন। উত্তেজনার একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।

 

রাত ৩টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় নীলক্ষেত মোড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। পরে এলাকায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

দফায় দফায় সংঘর্ষের পর রাত ৩টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে হামলায় জড়িত সবার বিচারের দাবিতে আজ সকাল ৯টা থেকে নিজ নিজ কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের আজ সব চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

Exit mobile version