সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা

দীগুলোর পানি আরও বেড়েছে

সিলেটের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান নদীগুলোর পানি আরও বেড়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।  

সোমবার (১৬ মে) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নদ-নদীর বন্যা পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পর্যবেক্ষণাধীন পানি-সমতলের ১০৯টি স্টেশনের মধ্যে ৭৯টিতে পানি বাড়ছে এবং ২৬টি স্টেশনে পানি কমছে।

বাপাউবো প্রতিবেদনে বলা হয়, সুরমা নদীর পানি সিলেটের কানাইঘাটে, কুশিয়ারার পানি অমলশীদ ও শেওলায় এবং সারিগোয়াইন নদীর পানি সারিঘাটে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওই সব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আগামী দিনগুলোতে ওই এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া প্রধান নদীগুলোর পানি-সমতল কতিপয় পয়েন্টে সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার নদ-নদীর পানি কিছু স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং সিলেট জেলার নিম্নাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

বাপাউবো বলেছে, গঙ্গার পানি-সমতল স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি-সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলের ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধির ধারা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের কতিপয় স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

Exit mobile version