মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে যাত্রীবাহী গাড়ীর জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা মীরা রানী ভৌমিক (৫৩)। এসময় বেপরোয়া কাভার্ড ভ্যান চাপায় ঘটনাস্থলে প্রাণ গেল ওই শিক্ষিকার। তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছরা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এসময় আরো দুই জন আহত হয়। আহতরা হলেন জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার শ্যামল নাথের পুত্র অরুপ নাথ (১৮), সে নিজামপুর সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অপরজন স্বপন নাথ (৭০) সে পেশায় রাজমিস্ত্রী। স্বপন নাথকে স্থানীয় রেডিয়েন্স হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহত শিক্ষিকা ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামের সুধাংশু আমিন বাড়ীর অজিত চন্দ্র নাথের স্ত্রী। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা ২ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া মাজার গেইটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ কাভার্ড ভ্যান চালক আব্দুল আলিম (২৪) কে আটক করেছে।
খৈয়াছরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রবাল ভৌমিক জানান, বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও রমজান মাসে শিক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাশ নেওয়া হচ্ছিল। ক্লাশ শেষে বাড়ী যাওয়ার জন্য বড়তাকিয়া মাজার গেইট গাড়ীর জন্য মহাসড়কের পাশে অপেক্ষা করছিলেন তিনি এসময় দ্রুতগামী কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে এসে মীরা রানী ভৌমিককে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন। তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। দুর্ঘটনায় হঠাৎ সহকর্মীর এভাবে চলে যাওয়া মানতে কষ্ট হচ্ছে।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের সার্জেন্ট মীনার হোসেন জানান, গাড়ীতে উঠার জন্য যাত্রী চাউনির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্কুল শিক্ষিকাসহ আহতরা। দুপুর দুইটার দিকে চট্টগ্রামমুখী একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দিলে দাঁড়িয়ে থাকা তিন জনের মধ্যে ঘটনাস্থলেই স্কুল শিক্ষিকা মীরা রানী ভৌমিকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় কাভার্ড ভ্যান চালক আব্দুল আলিমকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
স্কুল শেষে বাড়ী ফেরার পথে বেপরোয়া কাভার্ড ভ্যান চাপায় প্রাণ গেল শিক্ষিকার
