Site icon দৈনিক দেশের সংবাদ deshersangbad.com

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির মানবিক আবেদন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আজ ১২ মে, ২০২৪ (রবিবার) বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন—এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক—কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে এমপিও নীতিমালার শর্ত সমূহ শিথিল করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন—এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানবিক আবেদন জানানো হয়।

কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে নন—এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক—কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মোঃ দবিরুল ইসলাম বলেন, মাননীয় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় ২০২১ সালে বলেছিলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতি বছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেয়াহবে।”কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০২২ ও ২০২৩ সালে কোন আবেদন নেয়া হয়নি। ২০২৪ চলে যাচ্ছে, যদিও আবেদন নেয়ার কথা ছিল কিন্তু এখন পর্যন্ত তা নেয়া হচ্ছে না। ২০২৪ সালে যদি আবেদন না নেয়া হয় তাহলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ দীর্ঘ ২০—২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারেনা। পিঠে মারেন, পেটে মারেন না। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের সকল নন—এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী। তাই নন—এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক—কর্মচারীদের সামাজিক মর্যাদা ও সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করে এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর সকল শর্ত শিথিল করে বিশেষ বিবেচনায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সকল নন—এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করে আপনার সরকারের প্রতিশ্রম্নতি বাস্তবায়ন করবেন । দাবী বাস্তবায়ন না হলে আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ মনিমুল হক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ১২ লক্ষ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানাতে পারেন, পদ্মা সেতু বানাতে পারেন, যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতু তৈরী করতে পারেন, কর্ণফুলী টানেল বানাতে পারেন, নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট বানাতে পারেন, স্যাটেলাইট পাঠাতে পারেন, কাজেই আপনি অবশিষ্ট নন—এমপিও শিক্ষক—কর্মচারীদের এমপিওভুক্তও করতে পারবেন ইনশাল্লাহ। আপনি দেশকে নন এমপিওর অভিশাপ মুক্ত করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারেন।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন নন—এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক—কর্মচারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান,অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ মোঃ শাজাহান সিরাজ,প্রধান শিক্ষক মোঃ খায়রুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মোঃ এলাহী বকস্, অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান, অধ্যক্ষ প্লাবন, সুপার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, প্রধান শিক্ষক বাবুল আক্তার, প্রভাষক হোসনে আরা, প্রভাষক গোলাম মোস্তফা, সুপার আব্দুল হান্নান,সুপার আবুল কাশেম সহ আরো অনেকে।

Exit mobile version