হাট ইজারা দুর্নীতি : নড়াইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের কারাদণ্ড

কারাগারে আটক আছেন।

দুর্নীতি মামলায় নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ ১১ জনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন যশোর স্পেশাল জজ আদালত। নড়াইলের রূপগঞ্জ হাট ইজারা দুর্নীতি মামলায় এ রায় ঘোষণা করা হয়। তৎকালীন পৌর মেয়র সোহরাব হোসেন বিশ্বাস ও কমিশনার, ইঞ্জিনিয়ারসহ ১১ জনকে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন যশোর স্পেশাল জজ আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের যশোরের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।

১৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ সাজা দিয়েছেন।

 

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নড়াইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, তৎকালীন কাউন্সিলর খন্দকার আল মনসুর বিল্লাহ, সাবেক কাউন্সিলর আহম্মদ আলী খান, সাবেক কাউন্সিলর তেলায়েত হোসেন, ইজারাদার রফিকুল ইসলাম, ইজারাদার রাধে কুন্ডু, ইজাজুল হাসান বাবু, ইজারাদার জিল্লুর রহমান, ইজারাদার এইচ এম সোহেল রানা, তৎকালীন পৌর সচিব শফিকুল আলম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ওয়াজিহুর রহমান।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে আসামিরা হাট-বাজার ইজারা দেন ১৪১২ (বাংলা) সনে। আসামিরা নড়াইল পৌরসভার রূপগঞ্জ সাধারণ হাট ও নড়াইল বাস টার্মিনাল ইজারা দিয়ে সাত লাখ ৮১ হাজার ২০ টাকা এবং ১৪১১ সনে একই হাট চার লাখ ৪১ হাজার টাকা আদায় করেন। সর্বমোট ১২ লাখ দুই হাজার ২৮০ টাকা পৌরসভায় জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন তারা।

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, ইঞ্জিনিয়ার, সচিবসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেককে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

একই সঙ্গে আত্মসাৎকৃত ১২ লাখ দুই হাজার ২৮০ টাকার মধ্যে আসামি জিল্লুর রহমান এক লাখ ৮৬ হাজার ৬০ টাকা, সোহেল রানা তিন লাখ ৫২ হাজার ১২০ টাকা, রাধে কুন্ডু তিন লাখ ৫০ হাজার, রকিবুল ইসলাম এক লাখ ৮৫ হাজার, ইজাজুল হাসান এক লাখ ৪৮ হাজার ৯০০ টাকা পরিশোধ করবেন। সাজাপ্রাপ্ত এজাজুল হাসান, জিল্লুর রহমান ও রকিবুল হাসান বাদে সকলেই কারাগারে আটক আছেন।

উল্লেখ্য, ইজারাসংক্রান্ত দুর্নীতির অপর মামলায় নড়াইলের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস ২০১৭ সালে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন।

Exit mobile version