১৩ ব্যারেল ডিজেল আগুন বাড়িয়ে দেয়,কেবিন বয়ের মুখে লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনা

ইঞ্জিনরুম থেকে আগুন চলে যায় ডেকের দিকে।

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।

তবে প্রত্যক্ষদর্শী লঞ্চের কেবিন বয় ইয়াসিন (১৯) গণমাধ্যমকে বলেন, লঞ্চের নিচতলার পেছনে ইঞ্জিনরুমের পাশেই ক্যান্টিন। সেখানে বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে লঞ্চে আগুন ধরে যায় এবং তা দ্রুত ইঞ্জিনরুমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে রাখা ১৩ ব্যারেল ডিজেল আগুন বাড়িয়ে দেয়। ইঞ্জিনরুম থেকে আগুন চলে যায় ডেকের দিকে।

তিনি জানান, ডেকের জানালার পর্দায় লেগে তা দোতলায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে প্রথমে পারটেক্স বোর্ডের সিলিংয়ে আগুন লাগে। দোতলায় একটা চায়ের দোকান ছিলো। ওই দোকানের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে আগুন আরো তীব্র হয়। এভাবে পুরো লঞ্চটি আগুনে পুড়ে যায়।

অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হানজালা গণমাধ্যমকে বলেন, লঞ্চের কেরানি আনোয়ার রাত ৩টা ৫ মিনিটে তাকে ফোন করে আগুন লাগার খবর দেন। সে বলেছে দোতলায় একটা বিস্ফোরণ হয়, সঙ্গে সঙ্গে কেবিনে আর লঞ্চের পেছনের বিভিন্ন অংশে আগুন দেখা যায়। তারপর তৃতীয় তলার কেবিন ও নিচতলায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন।

হানজালা বলছেন, ওই লঞ্চে অন্তত ২১টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিলো, কিন্তু এতো দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে যে, সময় পাওয়া পায়নি।

বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

Exit mobile version