ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কৃষ্টপুর এলাকায় একটি আম বাগানের প্রায় ১৫০০ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তবে গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগ কিছুই জানে না।
শুক্রবার (৪ মার্চ) সকালে ঠাকুরগাঁও সদরের ভূমি কর্মকর্তা শারিয়ার রহমানের নির্দেশে একদল শ্রমিক গাছগুলো কাটেন। এ সময় স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন কর্মকর্তাসহ শ্রমিকেরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণ আনে।
জানা যায়, ১০০ বিঘা জমির বেশি থাকায় জমির মালিক প্রয়াত কুসুম উদ্দিন নিজেই উদ্বৃত সম্পতির প্রায় ৫ একর জমি সরকারকে ছেড়ে দেন। তার মৃত্যুর পর ২০০৭ সালে তার সন্তানদের নোটিশ দেয় ভূমি কর্মকর্তা। নোটিশ পাওয়ার পর সরকারকে দেওয়া জমির বিষয়ে ভুল রয়েছে মর্মে ভূমি অফিসে ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করেন কুসুম উদ্দিনের ওয়ারিশরা। কিন্তু ভূমি অফিস কোনো জবাব না দিয়ে কালক্ষেপণ করে।
অন্যদিকে পৈতৃক সম্পতি হিসেবে ওই এলাকার প্রায় চার একর জমিতে চাষাবাদ করে আসছিলেন প্রয়াত কুসুম উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবির। সবশেষ ১২ বছর ধরে আম ও কমলা বাগান গড়ে তোলেন তিনি। কিন্তু কাউকে কিছু না জানিয়ে শুক্রবার ভূমি কর্মকর্তা একদল শ্রমিক নিয়ে জমিতে আবাদকৃত ১২০০ আম ও ৩ শতাধিক কমলার গাছ কেটে ফেলেন।
জমির মালিক মরহুম কুসুম উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবির অভিযোগ করে বলেন, ভূমি কর্মকর্তা কোনো নোটিশ না দিয়েই হঠাৎ ভোর থেকে শ্রমিকদের দিয়ে প্রায় ১৫০০ গাছ কেটে ফেলেন; যা সম্পূর্ণ বেআইনি। আমরা বার বার তার সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। আমরা দ্রুতই রিট করব আদালতে।
বাগানের গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে ভূমি কর্মকর্তা শারিয়ার রহমান বলেন, জমির মালিক নিজেই সরকারকে জমি দিয়েছেন। তাই কেটেছি। এখানে আমাদের করণীয় নেই।