আমাদের গা
কবি,কে,এম,তোফাজ্জেল হোসেন (জুয়েল খান)
সবুজের পরে সবুজ ছুটেছে
মাঠের পরে মাঠ আঁকা বাঁকা
মেঠ পথ ঘাট বৃষ্টি এলে
কাদায় কাদায় ভরা বড্ড
স্যাত শেতে ভাব মোদের
চারিপাশ গ্রামের পরে গ্রাম
ছুটেছে পুকুরের পরে পুকুর ,
পুকুরেতে হরেক শাপলা ফুল
ফুটে পদ্ম হাসে তার সাথে
দিঘির পরে দির্ঘি নানান
মাছের ঝাক ছোট বড় মাছ
হরেক রকম খেলছে খেলা
গাছের শাখে ফুটেছে বকুল
ফুল বকুল ফুলের মধুর ঘ্রানে
গায়ের চারপাশ মাতাল হয়ে
উঠে হটাৎ ঐ শীতোল হাওয়া
এক পশলা গাঁয়ে মাখে ।
সকাল দুপুর রাতে শীতল
বায়ু তিন বেলা খেয়ে মিটায়
মনের ক্ষুদা ফুলে ফলে ভরা
আমাদের গা গাছে গাছে
কত ভোমরার গুনজন রব
মৌ মাছিরা নাচি নাচি
ঐ ঘন দূর বনে মধু আহরনে
তার ফুলের গাঁয়ে গাঁয়ে !
পাখ পাখির কিচিমিচি সুর
সকাল সন্ধা সাজে রাখাল
ছেলেরা মহিষের পিঠে
চলেছে কোন সে দূর পথে
জেলে ভাইয়েরা ধরছে মাছ
রঙ্গিন জালের ভাজে পাঙ্গাশ
আরই,বোয়াল চিতল,রুই,
কাতলা মাছ নেচে নেচে পরছে
ধরা জেলে ভাইদের জালে !
নদীর পানি বয়ে চলেছে
অজানা কোন এক গায়
গ্রামের বধূরা কলশি কাখে
রুমু ঝুমু পারি দেয় মাঠ
নদীর ঘাটে জল আনিতে
আলতা রাঙ্গা পায়ে হটাৎ
মেঘের পরে মেঘ দেখা যায়
সাদা কালো মেঘে ছুটেছে চলে
অচিন পূরির দেশে প্রজাপতিরা
মিলেছে ডানা সাদা কাশ ফুলেরি
বনে মোদের গায়ের শীতোল
ছায়ায় জুড়াই দেহ খান বৃষ্টি
এলে খরের ঘড়ে চুপটি মেরে বসে
জানলা দিয়ে চেয়ে দেখি কচুর
পাতা মাথায় দিয়ে নতুন বধূ
ছুটেছে আপন ঘরে জামা কাপড়
ভিজে বাহিরে পাগলা হাওয়া
বহিতেছে প্রকৃতি যেন যুদ্ধ
করছে ঝড় বাদলের সাথে
মায়ের গল্পের আসরে বসে
বৃষ্টি গেল ঐ দূরে মেঘ আর
রোদ লুকোচুরি খেলে খ্যাক
শিয়ালের বিয়ে সাত রংগেরি
রং ধনুতে আকাশ গেছে ছেয়ে
অগ্রান পৌষ মাস ক্ষেতের পরে
ক্ষেত ভরেছে সোনালী ধানে ধানে
কৃষকে কৃষকে কাটছে ফসল
ভাওয়াইয়া গানের সুরে সুরে
প্রতিদিন সকাল হয় ঝিঝিরি
বাতাস গড়াইয়ের ঢেউয়ের শ্নানে
সূর্য উঠে আঁধার কেঁটে সোনালী
রোদ গায়ে মেখে টাকার পাহার
দালান কোঠায় সূখ কি মেলে
কভূ সূখ যদি চাও মোদের গায়ে
এসো সূখ পাবে তুমি বহু সকাল
হলেই ঘূম ভাঙ্গে সবার মোয়াজ্জেমের
আজানের সুরে বাড়ি বাড়ি হৈ চৈই
পড়ে নামাজ পড়ার ধূম গড়াই নদির
ধারে হাজার পাখির কিচির মিচির
নদির খরতা স্রতে পালতুলে যায়
মাঝি মাল্লারা লালন গানের সুরে
আওলা বাতাস পাগলা ঢেও খেলে
যায় সকাল বিকাল সাঝে বসন্ত
কালে ফুল ফোটে শাখে কৃষ্ণচূড়া
রং ছড়িয়ে হাত ছানি দিয়ে ডাকে
রাখালীয়া বাঁশির সুর সবুজ বনের
ঝাক কাশ ফুলের সাদা বনে শিয়াল
মামার হাক মন যেন আজ ছুটে
ছুটে যায় কোন এক অজানা
নেশায় দিন রাত ভেবে দিশে না
পায় প্রকৃতির সাথে প্রেমের নেশায়
সবুজ ঘাসে হরেক ফুলে আকাশের
ওই সাদা মেঘে মনটা আজ নেচে
নেচে যায় মাঠ ঘাট আর বন
পেরিয়ে প্রজাপতি আর ফরিং
বেশে মনটা যেন আজ উড়ে যেতে
চাই কোন এক অজানাতে সন্ধা
হলেই মোদের গায়ে রুপালি চাঁদ
মিটি মিটি হাসে ফোঁকলা দাঁতে
চেয়ে চাঁদের জোছনায় পান কৈরির
ঝাক কানা মাছি খেলে বাতাবি ।
লেবুর বনে জোনাকির দল
সন্ধা নামলে মিটি মিটি দেয়
আলো সকাল হলে বকের ঝাক
দল বেঁধে যায় নীল আকাশের
সিমানা পারি দিয়ে নৌকার
দেশে দাঁর টেনে মাঝি ভায়েরা গুন
গুনিয়ে যায় বৃষ্টিতে টাপুর টুপুর
নাওয়ের পালতুলে বাবুই পাখির
ঝাক বটের গায়ে তাল গাছের ডালে
বেঁধেছে তারা বাসা অপরুপ কি দৃশ্য ,
সে যেন ধূলায় লুটিয়ে পরে আমার
গায়ে এলে পরে সূখে সূখে ভরে
উঠবে তোমার দূঃখ ভরা বুক ঘিজি
ঘিজি ঘর থাকি সেথা সবে মিলে
সবাই মোড়া আপন জন সকল
ছেলে মেয়েরা সবাই ভাই বোন মোরা
এক পথ ধরে হাঁটি আর স্কুল যাই
খোসার পাইলোট হাই স্কুল মোদের
মায়ের সমান আলো দিয়ে শিক্ষা
দিয়ে বাঁচাই মোদর প্রাণ গায়ের মাঠ ।
ভরা ধান তার জল ভরা নদী
চাঁদের কিরণ লেগে করে
ঝিকিমিকি আম গাছ জাম
গাছ বাঁশ ঝাড় যেন মিলে মিশে
আছে ওরা একে অপরের
আত্মীয় সকালে সোনার রবি
পূর্ব দিকে উঠে পাখি ডাকে
বায়ু বয় নানা ফুলে ফলে
ছোট বড় ইটের বাড়ি ঐ সারি
সারি পথ পাড়ে আছে বেশ
লিচু গাছের সারি ছবির মতন
গায়ের প্রান্তে বটে গাছ আঁকা
বাঁকা ডানা মেলে আকাশে উকি
মারে গড়াই নদীর ঘোলা জলে
রোজ ছেলেরা সাঁতার কাটে
শংখচিল উড়ে চলে দূর আকাশে
ডানা মেলে পাহারাদার লণ্ঠণ
হাতে পাহারা দেয় রোজ রাতে ।
আমার গা আমার অহংকার সর্ব
দেশের সেরা সে যে আমার জম্ম
ভূমি সে যে আমার মা কোথায়
গেলে এমন ভূমি পাবে তুমি বল
পুস্পকানন খাল বিল হাওড়
বাওড়ে সাজানো গ্রাম অনেক
প্রতিকৃতির মায়া ভরা আকাশের
অন্যপাশে সমতল ভূমি কত অপরূপ
সব প্রকৃতিই মুগ্ধ নয়নে দেখি মোর
ভোর হলে আনন্দ উচ্ছাসে সুখে দূঃখে
ভালোবেসে পাশা পাশি রই বো মোরা
জন্ম ভূমিতে সকলে এক সাথে !!