একুশের গল্প
মৌ মধুবন্তী
না বলা অনেক দুঃখ দিয়ে গড়া অমর একুশ
ফেব্রুয়ারী এলেই দেখি একুশের চোখে সুখ
মাঠে-ঘাটে বাংলার ঘরে ঘরে ফোটে অনেক গল্প
সবার বুকেই আছে জীবন দানের দুঃখ অল্প-স্বল্প
একুশ লিখলেই বাজে বায়ান্নর প্রতিধ্বনি
সন্তানহারা মা আমি, শুনি, গুলির শব্দধ্বনি
আন্দোলন, আন্দোলন, ভাষার আন্দোলন
লড়াই, লড়াই, ভাষার লড়াইয়ে ছুটে আসে জনগণ
ইতিহাসের পাতায় সাহসী সাক্ষ্য রক্তজবা ফুল
অমর একুশ, নবীন-প্রবীনের গল্পে স্মৃতিসংকুল।
ভাষার লড়াই, কথার লড়াই, মানবের অধিকার
নীরবতার বুলেট বুকে শহীদ দেয়নি প্রাণ তার
শহীদের কলম লিখেছে সেদিন রক্তেভেজা চিঠি
মা, আসব ফিরে স্বাধীনতা নিয়ে, এই আমার দিঠি
একুশের চেতনা, জ্বলন্ত শিখা,
অন্তরকে করে প্রজ্বলিত, রাতকে করে দূর।
মাতৃভাষার আলিঙ্গনে,
বাঙালি জাতি গড়েছে ভাষার বিশ্বপুর।
কবিতা এবং আবেগ, হাতে হাতে ব্যানার, ফেস্টুন নাও বা’জান
অমর একুশ, একটি ভাষার, একটি দেশের মানচিত্রে অবস্থান।
একুশের নদী বয়ে যায় প্রশস্ত,
কণ্ঠে কবিতা, সঙ্গীতের ধার,
চারিদিকে সাংস্কৃতিক জোয়ার।
রক্তেভেজা মাটি থেকে উঠল গড়ে সুনিপুনি একটি বাগান
ভাষার জন্যই লাল-সবুজ পতাকা আজ আকাশে উড্ডীয়মান
অমর একুশ, প্রতিটি মানুষ আমরা মুখে মুখে বলি,
প্রশস্ত করে গেছে মুক্তির পথ যারা তাদের জানাই
শ্রদ্ধাঞ্জলি
বাংলার হৃদয়ে উত্তরাধিকার সেদিন উন্মোচিত হয়,
অমর একুশ, সাহসের গল্প, কখনোই ভুলবার নয়
এসেছে দেখো বিশ্বজুড়ে আজ বাংলা ভাষার জয়।