আলিফ হোসেন, তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে সাবেক ছাত্রলীগের ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উঠেছে সমালোচনার ঝড়, জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।এটা কি রাজনৈতিক বা দলীয় কর্মসুচি, না নৌকা বিরোধীদের মিলন মেলা, না পিকনিক এসব নিয়ে জনমনে এসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সুত্রপাত।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্প্রতিবার মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে সাবেক ছাত্রলীগের ব্যানারে আলোচনা ও মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়। স্থানীয়রা জানান, সেখানে উপস্থিত সিংহভাগ নেতাকর্মী ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে কখানোই সম্পৃক্ত ছিল না ও বিভিন্ন নির্বাচনে এরা নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের সমর্থনকারী এবং এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় অনুষ্ঠান করায় সাধারণ মানুষ বলছে ‘গাঁয়ে মানে না আমি মোড়ল’ বা এর মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে তাঁদের চরম দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন তালন্দ ইউপির মোহর গ্রামের আবুল বাসারের সভাপতিত্বে মোহনপুর উপজেলার শিব নদীর বাঁধে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাকিবুল হাসান পাপুল সরকার, সরনজাই ইউপি আওয়ামী লীগ সম্পাদক আনোয়ার সাদাৎ, পাঁচন্দর ইউপি আওয়ামী লীগ সম্পাদক বিজেন কর্মকার,তানোর পৌর যুবলীগের (বহিস্কৃত) সভাপতি রাজিব সরকার হিরো, তালন্দ ইউপি যুবলীগ সভাপতি (বহিস্কৃত) রইস উদ্দিন বাচ্চু, কাউন্সিলর আরব আলী, মৃদুল কুমার ঘোষ,
রফিকুল ইসলাম, সোহেল রানা, আরিফুজ্জামান বাচ্চু, শরিফুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম (মাষ্টার), আশাদুজ্জামান আসাদ,আব্দুল বারী, সহিদুল ইসলাম, পিন্টু, সানি, সার্জেন্ট (অবঃ) মুনীরুজ্জামান, দুলাল মন্ডল, রিগ্যান মন্ডল, হাবিল রানা, প্রতাপ কুমার হালদার,রনি, জাহাঙ্গীর ও মিজান প্রমুখ। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছে, এরা সবাই তানোরের মানুষ, অথচ বিজয় দিবসের দিনে এরা অনুষ্ঠান করছে মোহনপুর উপজেলায়। আবার সাবেক ছাত্রলীগের ব্যানারের অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিতদের সিংহভাগ ছাত্রলীগের রাজনীতি কখানো করেনি। এছাড়াও এরা সকলেই স্থানীয নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। তাহলে এরা নিজ এলাকায় কর্মসুচি করতে না পেরে বাইরের এলাকায় কর্মসুচি করে এরা কি বার্তা দিতে চাইছে। বা স্থানীয় রাজনীতিতে এদের কি অবস্থান রয়েছে, বরং এমন অনুষ্ঠান করে তারা নিজেরাই সাধারণ মানুষের কাছে হাসির খোরাক হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।#