প্রেস বিজ্ঞপ্তিhttps://youtu.be/t8BH__p3URA
কিশোরগঞ্জে ২০১৫ সালের চাঞ্চল্যকর ডাকাতির সময় হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় ওয়ারেন্ট ও চার্জশিটভুক্ত আসামী লাইলী’কে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
১। র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। গত ২০১৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকায় ১০/১২ সদস্যের একটি ডাকাত দল একটি বাড়িতে ডাকাতি করে এবং স্বর্ণালঙ্কার ও বিপুল পরিমাণ টাকা লুট করে। এ সময় ডাকাত দল দেখতে পায় যে, ঐ বাড়িতে বাড়ির মালিক ছাড়া আর কোনো মানুষ নেই। এ সুযোগে ডাকাত দল বাড়ির মালিককে হত্যা করে লাশ লুকানোর চেষ্টা করে। এ ঘটনায় তখন কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। উক্ত মামলায় কিশোরগঞ্জ থানা কয়েকজন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং ১০ জন ডাকাতের বিরুদ্ধে চার্জশীট জমা দেয়। যেখানে ‘‘লাইলী’’ অন্যতম আসামী ছিলেন। ঘটনার পরপরই এই কুখ্যাত ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য লাইলী নিজ এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রামে এসে বসবাস শুরু করে। এমনকি সে গত ৭ বছর ধরে চট্টগ্রাম এলাকায়ই বসবাস করে আসছিল। উল্লিখিত হত্যা মামলার ওয়ারেন্ট ও চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামী চট্টগ্রাম এলাকায় লুকিয়ে আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭ ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। নজরদারীর এক পর্যারে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত আসামী চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৭ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ আনুমানিক ০৭০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী লাইলী (২৫), স্বামী- নজরুল ইসলাম, সাং- বীর কামাটখালী, থানা-নান্দাইল, জেলা- ময়মনসিংহ’কে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী অকপটে স্বীকার করে যে, সে উক্ত কুখ্যাত ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য। এছাড়ও সে, উপরে উল্লেখিত ডাকাতি, হত্যাকান্ড ও হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং এই মামলায় কিশোগঞ্জ সদর থানার ওয়ারেন্ট ও চার্জশিটভুক্ত আসামী নিজ মূখে স্বীকার করে।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।