গণতন্ত্র রক্ষায় একটি অবাদ,সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য মূলত সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলাের সদিচ্ছার প্রয়োজন।

একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করা কোন ভাবেই সম্ভব না।

একটি অবাদ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের মাপকাঠি।সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনমতের প্রতিফলন ঘটে এবং জানগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হয়।যদি রাজনৈতিক দলগুলো একটি অবাদ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তাদের সদিচ্ছা না দেখায় তাহলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে
একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করা কোন ভাবেই সম্ভব না।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত দশ বার জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহ অনেকগুলাে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে। তবে সব সময় নির্বাচন সুষ্ঠ হয়নি বলে অভিযোগ শোনা যায়।
গতি নির্বাচনে ও আমরা দেখলাম বিরোধী দল বিএনপি
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি বলে অভিযোগ করে তারা
নির্বাচন বয়কট ও প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়।প্রধান রাজনৈতিক দলগুলাে নির্বাচন বয়কট করায় এ নির্বাচনে জনগণের আগ্রহ ছিল না বলা হয়।বিরােধী দলবিহীন এক
তরফাভাবে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং সরকার গঠন করে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর নিকট উপ-রাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমেদ পদত্যাগ করেন। তাঁর ভুলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদকে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে নিয়ােগ করা হয়। উপ-রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ এর নিকট রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এরশাদ এর পদত্যাগের পর উপ-রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিন জোট কর্তৃক প্রস্তাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মদ রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন।
রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেন, তাঁর মূল কাজ হবে অতি শীঘ্র জাতীয় সংসদ
নির্বাচনের আয়ােজন করা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। রাষ্ট্র পরিচালনা ও নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে
অনুষ্ঠানের জন্য তিন জোট কর্তৃক মনােনীত ৩১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্য হতে ১৭ জনকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়ােগ দেন তিনি। ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘােষণা দেয়া হয়। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ হিসেবে ঠিক করা হয়।
নির্বাচন অনুষ্ঠান । ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সর্বমােট ৭৬টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে ৩০০টি আসনে ২৭৮৭ জন প্রতিদ্বন্ধীকে ৫২.৩৭ ভাগ ভােটার ভােট দিয়েছেন।
পঞ্চম সংসদের মেয়াদ শেষ হবার কিছুদিন পূর্বে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙ্গে দেবার পরামর্শ দেন। রাষ্ট্রপতির নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ হিসেবে ঘােষণা করেন। কিন্তু সিংহভাগ রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে এই নির্বাচন বয়কট করে। তবু বেগম খালেদা জিয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে ভােটার ও প্রতিদ্বন্দীবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বনিম্ন ভােটার উপস্থিতির এ নির্বাচন জনগণ মেনে নেয় নি। তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে। । আন্দোলনের মুখে বিএনপি সরকার সংবিধানের ত্রয়ােদশ সংশােধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন পাস করে। বিচারপতি হাবিবুর রহমান এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মনােনয়ন পান। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান দায়িত্বই ছিল নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। সেজন্য তারা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের প্রতি দৃষ্টি দেন। ১৯৯৬ সালের ৮ এপ্রিল সাবেক আমলা মােহাম্মদ আবু হেনাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়ােগ করা হয়। নির্বাচন কমিশন ১২ জুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেন।১৯৯৬ সালের ১২ জুন একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বমােট ৮১টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে প্রার্থী ছিল ২৫৭৪ জন। যার মধ্যে ২৭৯ জন ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী, নারী প্রার্থী ছিল ৩৬ জন। এই নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ৭৩.৬১ ভাগ ভােটার ভােটাধিকার প্রদান করেন। মোট নির্বাচক ছিল ৫,৬৭,১৬,৯৩৫ জন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় ৪ লক্ষ পুলিশ, বিডিআর ও আনসার নিয়ােজিত ছিল। ১৯৯৬ এর জুনের নির্বাচনে ভােটার যেমন বেশি ছিল তেমনি দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকও অতীতের যেকোন নির্বাচনের চেয়ে বেশি ছিল।
এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ২১ বছর পর সরকার গঠন করে।
সংবিধানের ত্রয়ােদশ সংশােধনী অনুযায়ী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০১ সালের ১৫ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সাবেক বিচারপতি
লতিফুর রহমানকে নিয়ােগ দেয়া হয়। লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০১ সালের ১ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ হিসেবে ঘােষণা করে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনিক বিভিন্ন রদবদল ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলতে থাকে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী মােতায়েন করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ সাঈদ ২০০১ সালের ১৯ আগস্ট নির্বাচনের তফসিল ঘােষণা করেন। ঘােষণা মােতাবেক, ২৯ আগস্ট মনােনয়নপত্র দাখিল, ৩০-৩১ আগস্ট মনােনয়নপত্র বাছাই, ৬ সেপ্টেম্বর মানােনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ভােট গ্রহণের তারিখ ১ অক্টোবর। নির্ধারিত তারিখেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৫৪টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে।
আওয়ামী লীগ এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী মনােনয়ন দেয়। অন্যদিকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি
(নাজিউর) এবং ইসলামী ঐক্যজোট এই ৪ দল জোট হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। ৩০০ আসনে সর্বমােট প্রার্থী হিল
১৯০৩ জন যার মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৯৪ জন।নির্বাচনে ৭৫.৫৯ শতাংশ ভােট পড়ে। মােট ২৯,৯৭৮টি ভােট কেন্দ্রে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আনসার, বিডিআর এবং সামরিক বাহিনীর ৫৫,০০০ সদস্য মােতায়েন ছিল।নির্বাচনের ফলাফল নির্বাচন কমিশন প্রাপ্ত তথ্য মতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সর্বাধিক ২১৬টি আসন লাভ করে। এর মধ্যে বিএনপি পায় ১৯৩টি, জামায়াতে ইসলামী ১৭টি, জাতীয় পার্টি (নাজিউর) ৪টি এবং ইসলামী ঐক্যজোট ২টি আসন। নির্বাচনের প্রধান অপর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ মাত্র ৬২টি আসন লাভ করে ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তৃতীয় এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনে
কারচুপি ও দলীয় কর্মীদের ভােট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়ার অভিযােগ ওঠে।
বেগম খালেদা জিয়া ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রধামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। নিয়মানুযায়ী পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন তা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। তৎকালীন বিরােধীদলগুলাে অভিযােগ করে যে বিএনপির পছন্দসই বিচারপতিকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়ােগ করার জন্য সংবিধান সংশােধন করে বিচারপতিদের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ করা হয়। এর ফলে বিচারপতি কে এম হাসানকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মনােনয়ন দেয়া হয়। তাছাড়া হাইকোর্টের বিতর্কিত বিচারপতি এম এ আজিজকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়ােগ করা হয়। এ দুটি বিষয়ে আওয়ামী লীগসহ সিংহভাগ রাজনৈতিক দলের আপত্তি ছিল। বিচারপতি কে এম হাসানকে নিয়ে আপত্তির মুখে রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ নিজেকে প্রধান উপদেষ্টা ঘােষণা করেন। ৩১ অক্টোবর তিনি ১০ জন উপদেষ্টা নিয়ােগ করেন। ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ বিএনপির নির্দেশে একতরফা ভাবে কাজ করছিলেন এমন অভিযােগে ৪ জন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেন। ভােটার তালিকা প্রণয়নে এম এ পাশ করেন। এ এ এম এ আজিজের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযােগ উঠে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটসহ বিরােধী দলের হরতাল অবরােধের মুখে এম এ আজিজ পদত্যাগ করেন। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাহফুজুর রহমান ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন ধার্য করেন। কিন্তু মহাজোটসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘােষণা দেয়। এই দাবির সাথে বিদেশি কূটনীতিকগণও সব দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তাগিদ দিতে থাকে। ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিএনপিও ২২ জানুয়ারি তারিখে নির্বাচন
অনুষ্ঠানের ব্যাপারে অনড় অবস্থান নেয়। ৪ দলীয় জোট ও মহাজোটের এই মুখােমুখি অবস্থায় দেশ সঙ্কটময় পরিস্থিতির
দিকে ধাবিত হয়। সমগ্র দেশে একটা থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা ঘােষণা করেন এবং প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১২ জানুয়ারি এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমেদকে নতুন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়ােগ দেন।২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৩৮ টি রাজনৈতিক দল অংশ গ্রহণ করে এবং ভােট প্রদানের হার ছিল ৮৭.১৬ ভাগ। এ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী ছিল ১৫৬৭ জন। যার মধ্যে ৫৯ জন মহিলা।
প্রার্থী ছিলেন।
২০০৮ সালের নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুন:প্রতিষ্ঠায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই সাথে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিকল্প উদ্ভাবনের বিষয়টিও রাজনৈতিক দলের চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠে।পরিশেষে বলা যায়, অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কেননা এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাংবিধানিকভাবে নির্ধারিত ৯০ দিনের জায়গায় নানা কৌশল অবলম্বন করে প্রায় দুই বছর ক্ষমতায় থাকে। এই আমলেই দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতা শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত করার লক্ষ্যে কথিত ‘মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনটি বাংলাদেশে প্রকৃত অর্থে সংসদীয় ব্যবস্থা প্রবর্তনের সংগ্রামে আলাদাভাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। বস্তুত, নানা কৌশল অবলম্বন করে প্রায় দুই বছর যাবৎ ক্ষমতা দখলে রাখা এবং মাইনাস টু ফর্মুলা’র মাধ্যমে দেশকে
রাজনীতিশূন্য করার চেষ্টা করেন। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাটি বিতর্কিত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে এসে রাজনৈতিক দলগুলাের চাপের মুখে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
লেখক ও রাজনীতিবিদ
মোঃআজিজুল হুদা চৌধুরী সুমন
সদস্য,কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি জাতীয় পার্টি
কেন্দ্রীয় সহসভাপতি, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি
সভাপতি,জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
Exit mobile version