মহাপ্রাণ যোগেন মন্ডলের ১২১ তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিডিইআরএম এর বিবৃতি

বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল এর ১২১ তম জন্মবার্ষিকী ২৯ জানুয়ারি। তাঁর জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম), কেন্দ্রীয় কমিটি। সংগঠনটির সভাপতি উত্তম কুমার ভক্ত ও সাধারণ সম্পাদক শিপন কুমার রবিদাস স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে: “বিডিইআরএম মনে করে, আজও যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের ‘বহুজনবাদী’ রাজনীতির প্রাসঙ্গিকতা শেষ হয়নি। সমাজের অনগ্রসর ও প্রান্তিক মানুষের ন্যায্য হিস্যা প্রতিষ্ঠা, অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে যোগেন মন্ডল সর্বদাই প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় তাঁর নিরলস ত্যাগ ও সীমাহীন অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।”

নির্যাতিত-নিপীড়িত, শোষিত-অনুন্নত, শিক্ষা-দীক্ষায় পশ্চাৎপদ, সামাজিকভাবে অবহেলিত, দরিদ্র-অর্থক্লিষ্ট ও রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত মানুষের সার্বিক উন্নয়ন এবং অধিকার আদায়ের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল। তিনি পাকিস্তানের প্রথম আইন ও শ্রমমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে নির্বাচনে নিম্নবর্গের মানুষদের দাবিদাওয়া সামনে রেখে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। সাধারণ নির্বাচনে তিনিই প্রথম তফশিলি জাতির একমাত্র প্রতিনিধি যিনি সারা ভারতে আইনসভার একটি সাধারণ আসন দখল করতে পেরেছিলেন।

যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে তফশীলী সমাজ ও মুসলমানদের ঐক্যের প্রধান নেতা হিসেবে ১৯৪৭ সালে পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সমর্থন করেন। ১৯৫০ সালে পাকিস্তানি শাসকদের ভুল ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করে লিয়াকত খান মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। যোগেন মন্ডল মুসলমান কৃষক, নমশূদ্র সমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমান অবদান রেখেছেন।

আমরা মনে করি, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের রাজনৈতিক আদর্শ এই মুহুর্তে বাংলাদেশের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক।

Exit mobile version