রাজকুমারী ক্রাউন প্রিন্সেস ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন এর বাংলাদেশ-ডেনমার্কের উন্নয়ন অর্থনীতে সহযোগিতা কামনায় সাংবাদিক প্রকাশক জীবন কৃষ্ণদেব নাথের খোলা চিঠি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
জনাবা, ক্রাউন প্রিন্সেস ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন..
নমস্কার…
আপনার আগমনে বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের সকল জনগণ উজ্জীবিত ও অনুপ্রানিত। বিশেষ করে বাংলাদেশের মানবতার অগ্রদূত, জাতির জনকের গর্বিত কন্যা, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের অগ্রদূত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সম্প্রতি সাক্ষাতের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশ-ডেনমার্কের ব্যবসায়িক ও অর্থনীতির সম্পর্ক অনেকটা মাধুর্য্য। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন, গামেন্টস্ তথা পোশাক শিল্প, পর্যটন নগরী, পরিবেশ ও বন, রোহিঙ্গা সমস্যা ও সংকট সমাধানে গোটা বিশ্বের সাথে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশ এককভাবে নিজেকে বিলীন করে মানবতার ফেরীওয়ালা হিসাবে বিশ্বে আখ্যায়িত লাভ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ অবদানের প্রশংসায় পঞ্চমূখ ডেনমার্কের রাজকুমারী ক্রাউন প্রিন্সেস ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন। বাংলাদেশের সাথে ডেনমার্কের অর্থনীতির সমৃদ্ধি উ¤েœাচিত হলে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। চাঙ্গা হবে বর্হিবিশ্বের অর্থনৈতিক যোন। দূরীকরণ হবে বাংলাদেশে বেকারত্বের সমস্যা। সম্প্রতি ২৬ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্সেস ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন এবং ড্যানিশ উন্নয়ন ও সহযোগিতা-বিষয়ক মন্ত্রী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
এ বিষয়ে ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন এর কাছে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত দৈনিক আজকালের দর্পণ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ আকুতি আহ্বান জানিয়েছেন যে, যদি ডেনমার্ক-বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক যোন উ¤েœাচিত হয় সেই সাথে দু দেশের পর্যটন খাতকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাজে লাগিয়ে পর্যটকদের আগমন ও বাংলাদেশের সাথে ডেনমার্কে কর্মী নিয়োগ তথা বাংলাদেশ কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে এবং উভয়দেশের অর্থনৈতিক দিক চিন্তা করে বিশেষ করে ডেনমার্কের সহযোগিতায় বাংলাদেশের শিল্প এলাকাগুলোতে আরো অধিকত্বর অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে দু দেশের মধ্যে অর্থনীতির নতুন এক দুয়ার উ¤েœাচিত হবে এবং বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্রমধারায় বাংলাদেশ থেকে হ্রাসমূল্যে পোশাক শিল্প রপ্তানীতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তেমনি ডেনমার্কের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বাণিজ্যিক ভাবে লাভবান হবে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ বাংলাদেশের রাজকন্যা খ্যাত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সহযোগিতার মাধ্যমে দু দেশের পরাষ্ট্রমন্ত্রীদের একত্রিত বৈঠকে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের বাজার উন্মুক্ত করে দিলে হ্রাসকৃত মূলে বাংলাদেশ ডেনমার্ক থেকে বিভিন্ন কাঁচামাল জাতীয় পণ্য আমদানী ও রপ্তানীর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ট্রানজিটে ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ এক অর্থনীতির সমৃদ্ধির পথ খুলবে। সাংবাদিক জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৫ স্টার তালিকায় পৌঁছাতে হলে ডেনমার্কের আর্থিক ঋণ সহায়তা বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য্য। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বেকার সমস্যা ও শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন সহ বিভিন্ন দপ্তরে বিনিয়োগ ও সমৃদ্ধির চালকাশক্তির ধারাবিহকতা রক্ষার্থে ডেনমার্ক-বাংলাদেশ উন্নয়ন সম্পর্কের কোন বিকল্প নেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য প্রণোদিত দেশ বিরোধী উন্নয়নের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও বক্তব্য বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দারুনভাবে ব্যাঘাতের সৃষ্টি হতে পারে।
তাই সাংবাদিক জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ আরো বলেন, উন্নয়নের জোরে একাকিত হয়ে কাজ করতে গেলে বহু অপশক্তি বাঁধার কারণ হতে পারে তাই তিনি ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন এর প্রতি জোর আবেদন জানান, এ সমস্ত অপশক্তির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে অর্থনীতির দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশের পরিবেশ বান্ধব সরকারের উন্নয়নমূখী কর্মকান্ডের সাথে একাত্ববাদ জানিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত ও উন্নয়নকে প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়ে উভয় দেশের অর্থনীতিক, বাণিজ্যিক ও পর্যটন খাতকে কাজে লাগিয়ে ডেনমার্কের আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার আরো সহজতর করবে। বাংলাদেশ থেকে হ্রাসমূল্যে বিদ্যুৎ তৈরী করে ডেনমার্কে রপ্তানী। বাংলাদেশের পর্যটন এলাকাগুলোকে আরো প্রসারিত করে ডেনমার্কের পর্যটকদের বাংলাদেশে আহ্বান সহ উন্নয়নের পাশাপাশি পর্যটকদের আগমনে সুন্দর সমৃদ্ধি সম্পন্ন বাংলাদেশসহ অর্থনীতিক দিক দিয়ে লাভবান হবে উভয় দেশ। সেই সাথে বাংলাদেশের কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে কৃষকদের জন্য আর্থিক ঋণের সহায়তাসহ শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা ডেনমার্কের সাথে সম্পর্ক বাংলাদেশের উন্নয়নকে আরো গতিশীলতা আনবে বলে জানান সাংবাদিক জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ।
সাংবাদিক জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ আরো বলেন, অর্থনীতির দুয়ার সম্প্রসারিত করতে হলে দু দেশের সমন্বয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা স্বাক্ষরিত সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দরসহ পোশাক শিল্প এলাকা, মীরসরাই ইকোনমিক যোন, ঢাকার মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল, ফ্ল্যাইওভার নির্মাণ ইত্যাদির উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন। এদিকে, তিনি আরো বলেন, এ সমস্ত উন্নয়নখাতগুলো ডেনমার্কে ঢেলে সাজাতে দিলে তারা বাংলাদেশে বন্দর ও শিল্প যোনগুলোতে তাদের ব্যবসা সমৃদ্ধি করলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আগামী ২০২৪ সালের শতকরা ৮০% ঋণমুক্তি অর্থনৈতিক যোন হিসাবে বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার অবস্থান ফুটে উঠবে বর্হিবিশ্বের কাছে। বাংলাদেশের নিরলস উন্নয়নের ভূমিকা পালনকারী ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের অগ্রদূত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেনমার্কের রাজকুমারী কাছে বাংলাদেশ-ডেনমার্ক উন্নয়নের অর্থনীতির সম্পর্ক বিদ্যমান রাখাসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ ও ঋণ সুবিধার প্রস্তাব পেশ করেন এবং তা ডেনমার্কের রাজকুমারী সর্বসম্মতভাবে মন্ত্রী সভায় এ প্রস্তাব গৃহিত করেন। এর আগে ২৬ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে সোমবার সকালে তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছান ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন। সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। পরে রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডেনমার্কের উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী।
পরে ম্যারি এলিজাবেথ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ আজ বিকেলে কক্সবাজার যাবেন। আগামীকাল মঙ্গলবার রাজকুমারী বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন এবং এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবেন। এ ছাড়া তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সরাসরি মত বিনিময় করবেন। এরপর বুধবার রাজকুমারী কক্সবাজার থেকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা যাবেন এবং সুন্দরবন অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন। রাজকুমারী ম্যারি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কুলতলী গ্রামের জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং একটি সাইক্লোন শেল্টার ও উপকূলীয় বাঁধ পরিদর্শন করবেন। তিনি জীববৈচিত্র্য এবং সুন্দরবন অঞ্চলে লবণাক্ত পানি প্রবেশের বিষয় নিয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। রাজকুমারী মেরি আগামী বুধবার রাতে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
পরিশেষে, ডেনমার্কের রাজকুমারী বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত সহ দু দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহতসহ বিনিয়োগ ঋণ সুবিধায় ডেনমার্ক-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরো সমৃদ্ধশালী ও উন্নয়নমূখী করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং দু দেশের রাষ্ট্র নায়ক ডনমার্কের রাজকুমারী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।