দুমকিতে পাবলিক টয়লেট ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ!

দুমকি(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকিতে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত পাবলিক টয়লেট ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানে একান্ত সহকারি হিসেবে পরিচিত নেতা মোঃ নাঈম হোসেন লোকজন নিয়ে সম্প্রতি লেবুখালী হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের পাশের পাবলিক টয়লেটটি প্রকাশ্য দিবালোকে ভেঙ্গে ফেলেন। সরকারি উদ্যেগে নির্মিত জনস্বার্থের এ পাবলিক টয়লেটটি  ভেঙ্গে ফেলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ হাওলাদারের আমলে পাবলিক টয়লেট সুবিধা  দেয়া হলেও এবার নির্বাচনে তিনি (হারুন অর রশীদ) পরাজিত হলে তার একান্ত সহকারী নাঈম হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে এটি ভেঙে ফেলেছেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
গত সোমবার দুপুরে উপজেলার লেবুখালী ১ নং ওয়ার্ডের হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এই ঘটনাটি ঘটে।
লেবুখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন প্যাদা বলেন, নাঈম নিজে এখানে দাড়িয়ে থেকে দুপুরবেলা লোকজন নিয়ে টয়লেটটি ভেঙে ফেলেছে। এখানের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও মসজিদের মুসল্লীরা এই টয়লেটটি ব্যবহার করতেন। এখন টয়লেটটি ভেঙে ফেলায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সাবেক ইউপি সদস্য আবদুস সালাম ডাক্তার বলেন, এলজিএসপি’র অর্থায়নে এবং লেবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে জনস্বার্থে নির্মিত পাবলিক টয়লেটটি সরকারি সম্পদ। এটি কারো ভাঙ্গার অধিকার নেই। রীতিমতো অপরাধ আর এ জন্য অভিযুক্তের বিচার হওয়া দরকার।
অভিযুক্ত নাঈম হোসেন বলেন, কতৃপক্ষের মৌখিক সন্মতিক্রমেই এটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এর নেপত্থে কোন ইস্যু নেই। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষন এড়াতেই জনবসতি এলাকা থেকে এটি ভাঙ্গার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীন মাহমুদ বলেন, পাবলিক টয়লেট ভেঙ্গে ফেলার খবর লোকমুখে শুনেছি, কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Exit mobile version