শেখ পরিবারের সবচেয়ে পাওয়ারফুল ব্যাক্তি শেখ সেলিম এর পুত্রবধূর ভাই ববি হাজ্জাজ ইউনুস সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে আওয়ামিলীগ কে টেরোরিস্ট সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করতে ও নিষিদ্ধ করতে। যদি এটি হয় চিন্তা করুন প্রান্তিক কর্মীদের উপর কি লেভেলের রোলারকোস্টার চলবে।
এই ববি হাজ্জাজ আবার কথিত ধনকুবের মালিক মুসা বিন শমসের এর পুত্র। ববি হাজ্জাজ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক। তার একটি ভূঁইফোড় রাজনৈতিক দলও আছে।যেটি এন্টি লীগ।
পরিতাপের বিষয় হলো, লীগ আমলে ববি ও মুসা বাপ-বেটা দুইজনেই ছিলেন আরামে, যেতে হয়নি জেলে। করেছেন অবাধে সমালোচনা।
কিন্তু জুলাই আন্দোলনে এই ববি নর্থ সাউথের ছাত্রদের রাস্তায় নামিয়েছেন অন্য কয়েকজন শিক্ষক সহ মার্কিন IRI এর ফান্ডিং এ । নেতৃত্ব দিয়েছেন ম্যাসাকারেও।
আবার শেখ সেলিমের আরেক ভাইগ্না ও শেখ হেলালের মেয়ের জামাই এবং শেখ তন্ময়ের বোনের জামাই আন্দালিব রহমান পার্থ লীগ আমলে ছিলেন আরামে, টকশো গরম করে, স্টেজ গরম করেও যেতে হয়নি জেলে। তারেক জিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবসাও সামলিয়েছেন লীগ নেতাদের থেকে টেন্ডার নিয়ে। আরামে নিজের ব্যবসাও চালিয়ে গেছেন। আর এখন দিন-রাত লীগরে খিস্তি করে। বঙ্গবন্ধু র ধানমন্ডি ৩২ এর বাড়ি ভাঙা নিয়েও তাদের কোনো নিন্দা নাই।
লীগের ভবিষ্যত রাজনীতিতে শেখ পরিবারের কিছু সদস্য কে লীগের রাজনীতি থেকে মাইনাস করা উচিত
তৃনমুলের উচিত এদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা।।এবং এদের মাইনাস না করা পর্যন্ত হাইকমান্ড কে চাপে রাখা উচিত এবং জোড়ালো অবস্থান নেওয়া উচিত এই ৩ পরিবারের বিরুদ্ধে। লীগ যদি এদের মাইনাস না করে তৃনমূলের কোনো ভবিষ্যতই নাই, শেখ পরশ আর তার বউ এবং শেখ সেলিম যুবলীগরে নিজেদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলেছিল। শেখ তাপস মেয়র হওয়ার জন্য যুবনেতা সম্রাটের রাজনীতি শেষ করেছেন।
শেখ তাপস আর পরশ এর ব্যাপারেও জোড়ালো অবস্থান নেওয়া উচিত তৃনমূলের। এদের লীগের ভবিষ্যত নেতৃত্ব হওয়ার কোনো ক্রেডিবিলিটি নাই।এরা ক্রেডিবিলিটি হারিয়েছেন।
আপনাদের আত্নীয়রা লীগের পুটকি মারবে, আপনারা সেইভ থাকবেন আর প্রান্তিক লেভেলের কর্মীরা খুন হবে, জেলে যাবে, মামলা খাবে, হামলার শিকার হবে, বাড়ি-ঘরে লুট – অগ্নিসংযোগ হবে তা হতে পারে না।