এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ধানঝুড়ি সড়ক থেকে বটথলী ২.৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ কাজের ঠিকাদার কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এলজিইডির অর্থ বছরে প্রকল্পে কার্পেটিং কাজের বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। ধানঝুরি বটতলী থেকে সন্দলপুর রাস্তার ২.৫ কিলোমিটার নির্মান কাজের এই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে ঠিকাদারের ম্যানেজার হামিদুর ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ হয়। রাস্তার কাজে দূর্ণীতি অনিয়মের কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন আপনাদের কি করার আছে আপনারা করেন। এ বিষয়ে ঠিকাদারকে মুঠোফোনে পাওয়া যায় নাই। রাস্তার কার্পেটিং কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশের কাটা মাটির মিশ্রিত বালি দিয়ে বক্স না করেই নিম্নমানের ইট খোয়াসহ নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে রাস্তায়। এলাকাবাসী সূত্র মতে জানা যায়,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ এলাকাবাসী জানান অনিয়মের অভিযোগের পর কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলেও এখনো অনিয়মের মাধ্যমে কাজ দিয়েই উক্ত কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কাজের ঠিকাদার কোন বিষয় তোয়াক্কা না করে স্বল্প মানের দ্রব্য দিয়ে ম্যানেজার কে দিয়ে রাস্তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কার্পেটিং কাজের মিশ্রার মেশিন সরকারি বন বিভাগের মুল্যবান গাছগুলো আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি বনের মুল্যবান গাছগুলো আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সে দিকে কারো খেয়াল নেই। এলাকাবাসী আরও জানান,এই রাস্তা এভাবে হওয়ার কারনে রাস্তাটি অতি অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যাবে। এত নিম্ন মানের দ্রব্য দিয়ে কাজ করা হচ্ছে যে এখনই রাস্তার ঢালাই উঠে যাচ্ছে। সরকারি ভাবে তো অনেক টাকার বাজেট হয়েছে কাজ তো ভালো হচ্ছে না। ঠিকাদার তো টাকা ঠিকই উঠাইবেন কাজ তো মান সম্পন্ন হল না। এর জন্য দায়ি কে অবশ্যই স্হানীয় প্রশাসন। এই রাস্তাটি হলে এলাকার ও উপজেলার অনেক মানুষের যাতায়াতের পথ সুগোম হবে।কারন এলাকাবাসী ছাড়াও ধানঝুড়ি হাসপাতালে উপজেলার অনেক রুগীর যাতায়াত করতে হয়। সরকারি মুল্যবান গাছগুলো ও মান সম্পন্ন রাস্তার কাজ সম্পন্ন করার জন্য স্হানীয় বনবিভাগ ও স্হানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।