মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে  বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারি, আহত ১০

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কয়লা গ্রামের শহীদ জাকির হোসেন সড়কের কাজ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন নুরুন্নবী, আব্দুল হাই, মোমিন, আহসান উল্লাহ, সোহাগ, ইমাম, হোসেন, হাসানসহ ১০ জন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাকির হোসেন সড়কের কাজ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন ও বিএনপি নেতা আহসান উল্লাহর মধ্যে। এর জেরে সংঘর্ষে লিপ্ত হন তারা। সন্ধ্যার পর সিএনজি অটোরিকশায় আনোয়ারের অনুসারীরা পশ্চিম সোনাই গ্রামে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মসজিদে ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা শুনে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে পাল্টা ধাওয়া দেয়। এসময় দু’পক্ষের প্রায় ৮-১০ জন আহত হন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দু’পক্ষ থেকেই মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তারা।
শহীদ জাকির হোসেন সড়কের ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। ঠিকাদার মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী পালিয়ে যাওয়ার কারণে সম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে কার্পেটিংয়ের কাজের জন্য উপজেলা থেকে সমন্বয় করে কাজের অনুমতি দেওয়া হয়। স্থানীয় বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন কংক্রিট সরবরাহ করেন। অপরপক্ষ আহসান উল্লাহ নিম্নমানের কংক্রিট দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। এরই জের ধরে বাকবিতণ্ডা এবং পরবর্তীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নুরুন্নবী, আব্দুল হাই, মোমিন, আহসানুল্লাহ, সোহাগ, ইমাম, হোসেন হাসানসহ ৮-১০ জন আহত হয়েছেন।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন জানান, ৫ আগস্টের পর ঠিকাদার মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী পালিয়ে যাওয়ায় ওই সড়কের কাজ বন্ধ ছিল। পরে স্থানীয় আনোয়ার, সোহাগসহ কয়েকজনের অনুরোধে ইউএনও এবং এলজিইডি প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে পুনরায় কাজ শুরু হয়। কাজ শুরুর বিষয়টি তারা না জানায় আনোয়ার, সোহাগ এবং আহসান উল্লার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ে সমাধানের জন্য বসবো।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিফাতুল মাজদার জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলেই আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Exit mobile version