মিরসরাই প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের মোটর শোভাযাত্রায় হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগও যুবলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলায় যুবদল ও ছাত্রদলের ১৫ নেতাকর্মী আহত এবং ৬ টি মাইক্রোবাস ও ১২ টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে বলে দাবী বিএনপির। বুধবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলো চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ জিপসন, হিঙ্গুলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন সোহান, করেরহাট ইউনিয়ন যুবদল নেতা আকতার, হক সাব, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদল নেতা ফারুক, ধুম ইউনিয়ন যুবদল নেতা জিয়াউল ফারুক, হেলাল উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাসেল মীর্জা, মিরসরাই সদর ইউনিয়ন যুবদল নেতা দিদারুল ইসলাম, সোহেল, মহি উদ্দিন, মিরসরাই পৌরসভা ছাত্রদল নেতা রাব্বি, মামুন, ইব্রাহিম, ইছাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা জুবায়ের, সৌরভ, অনিক। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং দুবাই সফর শেষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের দেশে ফেরা উপলক্ষে বুধবার সকালে উপজেলার ওচমানপুর এলাকায় আলোচনা সভা ও সংবর্ধনার আয়োজন ছিল। তাতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মোটর শোভাযাত্রা করে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের সাথে ওচমানপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পূর্ব থেকে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা ওই মোটর শোভাযাত্রায় হামলা করে। হামলায় যুবদল ও ছাত্রদলের ১৫ নেতাকর্মী আহত এবং ৬ টি মাইক্রোবাস ও ১২ টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করে। আমরা সংঘাত চাই না। বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা সুস্থ্য ধারার রাজনীতির মাধ্যমে মিরসরাইকে এগিয়ে নিতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘হামলায় আমাদের যুবদল ও ছাত্রদলের ১৫ নেতকর্মী আহত এবং ৬ টি মাইক্রোবাস ও ১২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। এই ঘটনায় জোরারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, ‘আমাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। বিএনপির কোন্দলের কারণে নিজেদের মধ্যে নিজেরা মারামারি করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।’
জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুর রহমান বলেন, এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসলামপুরে অসহায়দের মাঝে বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টার কম্বল বিতরণ
লিয়াকত হোসাইন লায়ন,জামালপুর প্রতিনিধি।। জামালপুরের ইসলামপুরে অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও হাউজ...