একা আক্তার চাঁদনীর সাফল্যে তার পরিবার, বিদ্যালয় এবং এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। তিনি ভাইজোড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. রমিজ শেখ ও সুমি বেগমের কন্যা এবং মোতালেব কমিশনারের নাতনি। তার কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও প্রতিভার ফলেই তিনি সাইকেলিংয়ে জেলার সেরা হয়ে উঠেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে প্রশংসার বন্যা বইছে, সবাই তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছে।বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন্সপেক্টর ফয়সার হোসেন দিপুর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহাঃ সাদেকুল ইসলাম সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার বাগেরহাট।
প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আহমেদ কামরুল হাসান জেলা প্রশাসক বাগেরহাট। এসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এই প্রতিযোগিতায় কেউ প্রথম হবে কেউ দ্বিতীয় হবে। আমাদের গোটা জীবনটাই একটি রেস এখানে প্রতিদিনই আমাদেরকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয়। আজকের এই অভিজ্ঞতার আলোকে আগামীদিন গুলোতে নিজেদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন উপজেলা হতে আগত উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা, উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার, জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী শিক্ষক, সাংবাদিকবৃন্দ, অভিভাবক, সুধীজনসহ ক্রীড়ামোদী ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার এস, এম, ছায়েদুর রহমান তার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ক্রীড়ার পাশাপাশি লেখাপড়ায়ও আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। এসময় তিনি বিজয়ীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, যারা আজ ১ম স্থান ও ২য় স্থান অধিকার করেছেনা তার বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সময় যাতে বাগেরহাট জেলার সুনাম অক্ষুণ্ন থাকে এ ব্যাপারে সবাইকেই আন্তরিক হওয়ার আহ্বান রাখেন।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা জেলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বাগেরহাট জেলার প্রতিনিধিত্ব করবেন একা আক্তার। তার প্রশিক্ষক ও পরিবারের সদস্যরা আশাবাদী, তিনি বিভাগীয় পর্যায়েও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে জাতীয় পর্যায়ের টিকিট নিশ্চিত করবেন।
“একা আক্তার চাঁদনীর এই অর্জন আমাদের গর্বিত করেছে। তার এই অগ্রযাত্রা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সবাই তার জন্য শুভকামনা জানাই।”
একা আক্তারের এই সাফল্যে মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন,
“একা আক্তার চাঁদনীর এই অর্জন আমাদের গর্বিত করেছে। তার এই অগ্রযাত্রা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সবাই তার জন্য শুভকামনা জানাই।”
তার বাবা মো. রমিজ শেখ ও মা সুমি বেগম সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন,
“আমাদের মেয়ের এই অর্জনে আমরা ভীষণ গর্বিত। ছোটবেলা থেকেই ও দৃঢ় মনোবল ও অধ্যবসায় নিয়ে সামনে এগিয়েছে। ওর সফলতার পেছনে শিক্ষকদের অবদান অসীম। আমরা চাই, একা আরও বড় সাফল্য অর্জন করুক এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করুক।”
একজন উদ্যমী ও প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ হিসেবে একা আক্তার (চাঁদনী) তার একাগ্রতা, পরিশ্রম ও সাহসিকতার মাধ্যমে অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। গোটা মোরেলগঞ্জ এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তার আরও বড় সাফল্যের জন্য।