মোরেলগঞ্জে ব্রীজ ভেঙ্গে দুর্ভোগে শতশত মানুষ, শিক্ষার্থী কমেছে বিদ্যালয়ে

পার হচ্ছেন সকলে ৫টাকা দিয়ে।

এস.এম.  সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট থেকে :বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ৬টি গ্রামের শতশত মানুষ। মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিশারীগাটা বাজার সংলগ্ন খালের এ ব্রীজটি টানা দুই বছর ভগ্ন দশায় থাকা অবস্থায় এটিকে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।  এক মাস পূর্বে পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে। ফলে নিকটস্থ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক ও শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার পরে স্থানীয়দের উদ্যোগে  সর্বসাধারণের পারাপারের বিকল্প ব্যবস্থা এখন নৌকা। পার হচ্ছেন সকলে ৫টাকা দিয়ে।

জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের বিশারীঘাটা বাজার সংলগ্ন এ ব্রীজটি ২৫ বছর পূর্বে নির্মীত হয়। বিশারীঘাটা, নিশানবাড়িয়া, খাউলিয়া, বাদুরতলা, মধ্য বিশারীঘাটাসহ ৬টি গ্রামের শতশত মানুষ অহরহ ব্রীজটি ব্যবহার করছেন। সেই সাথে রয়েছেন ৬টি শিক্ষা প্রতিষণ্ঠানের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী। তারা এখন ঝুকি নিয়ে উঠছেন নৌকায়।

১৮৯নং বাদুরতলা ওয়াজেদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজা খানম বলেন, ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় তার বিদ্যালয়ে খ্ষিার্থীর সংখ্যা অনেক কমেছে। একই কথা বলেন স্থানীয় বিবি আফসার আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলামও।

মঙ্গলবার বেলা ১০ টার দিকে কথা হয় নৌকায় পারা হওয়া ৯ম শ্রেণির ছাত্রী শিক্ষার্থী তন্বী আক্তার, মরিয়ম আক্তার, ১০ শ্রেণির ছাত্র রুহুল আমীন শেখ, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান ইমু  বলেন, ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে তারা ঝুকি নিয়ে নৌকা পার হয়ে স্কুলে যাচ্ছে। দ্রæত ব্রীজটি নির্মাণের দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোল্লা হুমায়ুন কবির বলেন, ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার পরে নৌকায় বিকল্প পারাপারে ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে পারাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল হক বলেন, ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার পরে দ্রæত নতুন ব্রীজ নির্মানের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা এখন প্রকৃক্রিয়াধীন আছে। শীঘ্রই ওখানে ব্রীজের টেন্ডার হবে। ##

Exit mobile version