শিক্ষার্থীদের স্বাস্থসম্মত অভ্যাস অনুশীলনে ফেইথ-ইন-এ্যাকশন প্রকল্পের  সেমিনার অনুষ্ঠিত

বরগুনা প্রতিনিধিঃ
‘প্রবাহমান পানি দিয়ে হাত ভেজানো। ভেজা হাতে ভালোভাবে সাবান মাখানো। ২০ সেকেন্ড হাতের সামনের ও পেছন ভাগ, আঙুলের মধ্যে ও নখের ভেতরসহ নিচের অংশ ভালোভাবে ঘষা। পুনরায় পানি দিয়ে পুরো হাত ভালোভাবে কচলে ধুয়ে ফেলা।
শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম শেখাতে
বরগুনার তালতলীতে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের শিশুদের অধিকার নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্ভূতিকরণ ও সচেতনতা মূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার উপজেলার ২৬নং  ছকিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার নিয়ম শেখানো হয়। পরে অংশগ্রহণকারী ৫০ জন শিক্ষার্থীর হাতে একটি করে নেল কাটার ও হাত ধোয়ার সাবান বিতরণ করা হয়।
সচেতনতা মূলক সেমিনারটির আয়োজন করেন ফেইথ-ইন-এ্যাকশন।
মিল্টন বাইনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সকিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  শিক্ষক মোঃজাকির হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন ফেইথ-ইন- এ্যাকশন প্রকল্প ব্যবস্থাপক মি. অনিক রনি দত্ত, সাস্থ সহায়ক  সুমনা আক্তার ও সারমিন, মানবজমিনের উপজেলা প্রতিনিধি মোঃমাহমুদুল হাসান, ইনকিলাবের উপজেলা সংবাদদাতা কে এম রিয়াজুল ইসলাম সহ স্কুলের শিক্ষক  ও ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।
এ সময় প্রধান অতিথি  মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ‘শিশু গড়বে সোনার দেশ, যদি সে পায় পরিবেশ’। বর্তমান সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ শিশুদেরকে সোনার দেশ দেয়ার জন্য।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এখনও ৩৫ লাখ শিশু বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। আমাদেরকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আমাদের দেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে এবং এসডিজি’র লক্ষ্যসমূহ অর্জন করতে হলে শিশুর প্রতি কোনো বৈষম্য করা যাবে না।তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের মৌলিক অধিকারসমূহ যথা; শিক্ষা, পুষ্টি, খাদ্য ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হবে, কোনভাবেই তাদের মৌলিক অধিকারসমূহ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।’ তিনি শিশুর প্রতি সকল প্রকারের সহিংসতা বন্ধ করার এবং ঐক্যবদ্ধভাবে সবকিছু মোকাবেলা করার আহ্বান জানান। গুম, অপহরণ ও শিশু নির্যাতন ইত্যাদি সম্পর্কে গণমাধ্যমে সূত্রে জানা মাত্রই আমরা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। কারণ এগুলো রোধ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ তবে শিশুর প্রতি সকল সহিংসতা ও বঞ্চনা রোধ করা শুধু সরকারেরই দায়িত্ব নয়, অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক মি. অনিক রনি দত্ত বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে কোনো ধরনের বৈষম্য করা যাবে না বলে বলা আছে। কিন্তু আমরা এখনো শিশুর অধিকার সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন হতে পারিনি। সকল শিশুর নিরাপত্তা প্রদান করা রাষ্ট্রের আমাদেরও দায়িত্ব। শিশুদের অন্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের ন্যায় মৌলিক চাহিদাসমূহ নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে এ দায়িত্ব । তাই সকলের যথাযথভাবে এ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
‘শিশুরা আগামীর ভবিষ্যত। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিকশিত হওয়ার পরিবেশ করে দেয়া আমাদের সবার দায়িত্ব। শিশুদের অধিকার নিশ্চিত হলে আমরা একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে পারবো।###
Exit mobile version