মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালিও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে র্যালিটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।
বর্ণাঢ্য র্যালি ও সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. সায়ীদুর রহমান সাঈদ এর সভাপতিত্বে ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট শিল্পপতি লায়ন শেখ আজগর নস্করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও দলটির প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক মো. আবদুস সোবহান গোলাপ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সংগ্রামী সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক জাকেদ পারভেজ অপু সহ থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের নেতৃবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথি মো. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, এদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্র, বিপথগামী কিছু সেনার সহায়তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করেছিল জিয়াউর রহমান। তিনি মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা, দেশপ্রেমিক অনেক সৈনিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছেন। জিয়াউর রহমান জামাতকে এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের মন্ত্রীত্ব দিয়েছে, তাদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করেছেন। জিয়াউর রহমান এদেশের যুবসমাজকে মাদক আর অস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সন্ত্রাসী ক্যাডাররা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ভূলণ্ঠিত হয়েছিল।
সেই সময়ে আলোর ঝলকানি হয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ৬ বছর নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘদিন লড়াই-সংগ্রাম করে ফিরিয়ে এনেছেন গণতন্ত্র, মানবাধিকার, দাঁড়িয়েছেন নিপীড়িত শোষিত-বঞ্চিত মানুষের পাশে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায়। জামাত-বিএনপি দেশকে নিয়ে নানা মুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের সকল ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে ভোট দিয়ে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করতে হবে।