স্বামীর কলার ধরে স্ত্রী বলে উঠলো , যদি পুরুষ হও, তাহলে এখনি আমাকে তালাক দিয়ে দাও।

তোমার মত মানুষের সাথে আর সংসার করতে চাই না।

স্বামী অনেকক্ষণ চুপ থাকার পর বললেন, আচ্ছা। ঠিক আছে। তাহলে কাগজ কলম নিয়ে আসো। লিখে দিচ্ছি।.. স্বামী স্ত্রীর হাতে কাগজটি দিয়ে বলল, এই যে লিখে দিলাম। এখন এটা নিয়ে সোজা বাপের বাড়ি চলে যাও। ব্যাগ গুছিয়ে সন্তানকে কোলে নিয়ে বৌ বাপের বাড়ি চলে গেল।

দশ দিন পার হল। স্বামীর মোবাইল মেসেজ মেসেজ ভরে ওঠতে লাগল। স্বামী নিরুত্তাপ। নিরুত্তর। পনেরতম দিন থেকে শুরু হল কল। কখনো পরিচিত (স্ত্রী শশুর শাশুড়ি শ্যালক শ্যালিকার) নম্বর থেকে, কখনো অপরিচিত নম্বর থেকে। স্বামী কোন ফোনই রিসিভ করে না।.. শেষমেশ বিশ দিনের মাথায় স্বামী ফোন ধরল। স্ত্রী হাউমাউ করে কাঁদছে। ওগো.. লক্ষী.. সোনা.. আল্লাহর দোহাই.. তোমার মরা বাপের কসম সবই আরো কত কি বলছে। স্বামী সব শুনে বলল, কি বলতে চাও? সরাসরি বলো। এত ন্যাকামি শুনতে চাই না।

স্ত্রী: ওগো, আমি তো বুঝতে পারিনি। তুমি ছাড়া আমার কে আছে? তোমাকে ছাড়া আমি কিভাবে বাঁচবো বল!

স্বামী: তুমি ই তো বললে, পুরুষ হলে তালাক দাও।

স্ত্রী: তুমি পুরুষ। আমি তো মহিলা। আকল-বুদ্ধি কম।

স্বামী: আচ্ছা। ভেবে দেখি। এর আগে তোমাকে একটা কাজ করতে হবে

স্ত্রী : যা বলবে তাই করবো। তবুও..

স্বামী: এখন তো এগুলো বলবেই। এত ব্যস্ত হয়ো না। ভেবেচিন্তে কাজ করতে হবে। মাসআলা মাসায়েলের ব্যাপার আছে। আচ্ছা যে কাগজটা তোমাকে দিয়েছিলাম সেটা কি আছে তোমার কাছে?

স্ত্রী: হা। আছে।

স্বামী : ওটা খুলে দেখেছিলে?

স্ত্রী : না।

স্বামী: কী লিখেছিলাম, তাও তো মনে নেই। কাগজটা হাতের কাছে থাকলে একটু পড়ে শুনাও তো।

… স্ত্রী কাগজ খুলে পড়তে শুরু করল,

‘আসমান যদি নীচেও নেমে আসে তবুও তোমায় তালাক দিব না আমার প্রেয়সী!’….

~°ভালোবাসা তো এমনি হওয়া উচিত °~

গল্পটা কেমন লাগলো, পড়ার পর কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন প্লিজ।

সংগৃহীত

Exit mobile version