স্বামী যদি মায়ের বশে চলে তাহলে স্ত্রীর কী করা উচিৎ?

আমি সাধারনভবে এই প্রশ্নটির প্রয়োজনীয়তা বুঝতাম না। তবে টিভির একটি নাটকের কারনে, বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি। শাশুড়ি ও বউ এর মধ্যে রেষারেষির মুল কারন হলো – ছেলেটির উপর আধিপত্য। শাশুড়ি ও বউ এটা নিয়ে প্রতিযোগীতা করে। শাশুড়ি বলে – আমার ছেলে আমার রান্না ছাড়া খায় না। বউ বলে – আমার স্বামী আমার রান্না সবচেয়ে পছন্দ করে। ব্যাস, এই নিয়ে প্রতিযোগীতা, রেষারেষি ও দ্বন্দ।

অলোচ্য নাটকে সেই রেষারেষি এমন পর্যায়ে পৌছে যে, ছেলেটি মায়ের পছন্দ করা জামা ও বউ এর পছন্দ করা জামা দুটোই কেটে অর্ধেক করে। তারপর, একসাথে দুটি অর্ধেক জামা পরে অফিসে যায়। শাশুড়ি ও বউ এর রেষারেষিতে ছেলেটার পাগল হবার মতন অবস্থা।

প্রশ্নকারী ওই রেষারেষি ও প্রতিযোগীতায় শাশুড়ির সাথে পেরে উঠছেন না। সেজন্যই প্রশ্ন এসেছে – স্বামী মায়ের বশে চলে গেলে কি করবে?

এমন ক্ষেত্রে বউ এর জন্য খুব সহজ একটি সমাধান আছে – নিজেও মায়ের (শাশুড়ি) বশে চলুন।

  • শাশুড়ি বললো, আমার ছেলে আমার অমুক রান্নাটা পছন্দ করে, আজকে সেটা খাবে। এটা শুনে নিজের রান্নার ব্যাপারে কথা না বলে, শাশুড়িকে, বলুন – আমিও আপনার রান্না খাবো। শাশুড়ির কাজ বাড়িয়ে দিন।
  • শাশুড়ি বললো, আমার ছেলে আজকে অফিসে নীল রঙের জামা পরে যাবে। এটা শুনে নিজের পছন্দের রংটার কথা না বলে, শাশুড়িকে বলুন – আজকে আমিও নীল শাড়ী পড়ে মার্কেটে যাবো। এরপর প্রত্যেকদিন সকালে শাশুড়িকে জিজ্ঞাসা করুন – কোন রঙের পোশাক পরবো?

এই দুইটা উদাহরন মাত্র। মূল করনীয় হলো – শাশুড়ি ছেলের প্রতি বেশী যত্নশীল হলে, তার কাজ ডবল করে ফেলুন। আপনার শাশুড়ি ছেলের জন্য যেসব করে, সেই কাজগুলো নিজের জন্যও করিয়ে নিন। ছেলের জন্য রান্না করে। আপনি নিজের জন্যও রান্না করিয়ে নিন। ছেলের জন্য জামার রং পছন্দ করে। আপনার জন্যও শাড়ির রং পছন্দ করিয়ে নিন। তার কাজ বাড়িয়ে দিন।

শাশুড়ি তার বয়স্ক ছেলেটির জন্য অযথা বিভিন্ন যত্ন করে, ছেলের উপরে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আপনি সেই ব্যাপারে শাশুড়ির সাথে পাল্লা না দিয়ে, শাশুড়ির কাছ থেকে নিজেও যত্ন আদায় করে নিন। ছেলের জন্য যেসব যত্ন করবে, সেসব যত্ন আপনার জন্যও করবে। তার কাজ ডবল করে ফেলুন।

এভাবে কিছুদিন ডবল কাজ করার পরে, আপনার শাশুড়ি নিজেই বলবেন – কেমন একজন বউ এলো। আমার ছেলেকে যত্ন করতে পারে না। উল্টো আমিই সেই বউকে যত্ন করছি। এই বয়সে আমি আর কত খাটুনি করবো !!

এভাবে একসময় আপনার শাশুড়ি আপনার যত্ন, নিজের ছেলের যত্ন, সবকিছুই বন্ধ করে দিবে। তখন আপনার মাঠ একেবারে ফাঁকা হয়ে যাবে। আপনার আর কোন বাঁধা থাকবে না।

নাটকটি এখানে:

Exit mobile version