সেপ্টেম্বরেই চালু হচ্ছে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়াল সড়ক)। নির্মাণাধীন এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এয়ারপোর্ট- তেজগাঁও অংশ আগামী ২ সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।
শনিবার (১২ আগস্ট) রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দলটির একাধিক নেতা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সভায় অংশ নেওয়া একাধিক নেতা জানান, আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে একাংশ (বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত) উদ্বোধন করা হবে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে ওইদিন রাজধানীতে বড় ধরনের জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে এ জনসভা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এই জনসভার কারণে আগামী ২ সেপ্টেম্বর সিলেটে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জনসভা স্থগিত করা হয়েছে। এ সমাবেশ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে। সেই সময় খুলনা, কুমিল্লাসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ জেলায় সমাবেশ করবেন জনসভা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
রাজধানীর কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপ খুলে দেওয়া হলে যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করছে নগরবাসী।
এরই মধ্যেই এই অংশের নির্মাণকাজ ৯৮% শেষ হয়েছে। প্রকৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ কমবে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯.৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প রয়েছে। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার।