অজু ছাড়া নামাজ পড়লে করণীয় কী?

নামাজের পূর্বশর্ত হলো অজু। অজু ছাড়া নামাজ হবে না। কিন্তু কখনো কখনো কেউ কেউ অজু ছাড়া ভুলক্রমে নামাজ পড়ে নেন। নামাজ শেষে তাদের মনে পড়ে, আমি অজু ছাড়া নামাজ পড়েছি। তারা জানতে চান, এ ক্ষেত্রে করণীয় কী?

ফিকাহবিদরা এ ব্যাপারে একমত যে, অজু করে পুনরায় নামাজ পড়তে হবে। কারণ, অজু ছাড়া নামাজ হয় না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কারও যদি অজু ভেঙে যায়, তাহলে পুনরায় অজু করার আগ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তার নামাজ কবুল করেন না।’ (বুখারি : ৬৯৫৪)

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘পবিত্রতা ছাড়া কোনো নামাজ কবুল করা হয় না। ’ (মুসলিম : ২২৪)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ বেহেশতের চাবি, অজু নামাজের চাবি।’ (মুসনাদে আহমাদ)।

অজুর ফরজ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনেরা, যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হবে, তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে এবং তোমাদের মাথা মাসেহ করবে এবং পা টাকনু পর্যন্ত ধৌত করবে।’ (সুরা মায়িদা : ৬)

অজুর অঙ্গগুলো প্রতিটি একবার করে ধোয়া ফরজ, তিনবার ধোয়া সুন্নাত; কিন্তু মাসেহ একবার করেই করতে হয়। অজু ও গোসলে পানি অপচয় করা যাবে না, যদি সমুদ্রতীরে বসেও অজু করে। (বায়হাকি)

অজু শয়তানের বিরুদ্ধে মুমিনের আত্মরক্ষার অস্ত্র। অজু রাগ প্রশমন করে ও শয়তানি প্রভাব দূর করে। অজু শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি আনয়ন করে। অজু অবস্থায় শয়ন করা সুন্নাত। অজুর পর দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নাত। একে ‘তাহিয়াতুল অজু’ নামাজ বলা হয়। (আল হিদায়া)

Exit mobile version