অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে ১৬ ওভারেই একশ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের স্কোর ১০৫/১

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ১৬ ওভারে ১০৫/১ (লিটন ৩৬*, শান্ত ১৯*; তানজিদ ৩৬)

৭৬ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও রানের চাকা সচল রেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত-লিটন দাস মিলে একই ছন্দে খেলার চেষ্টা করছেন। তাতে ১৬তম ওভারে স্কোর একশ ছাড়িয়েছে।

৭৬ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙলো তানজিদের বিদায়ে

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন তানজিদ-লিটন। বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর গড়তে অবদান রাখেন তারা। ৭৬ রানের দারুণ জুটি ভাঙে তানজিদের বিদায়ে।

ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ১১.২ ওভারে শন অ্যাবটের শর্ট বলে কপাল পোড়ে তার। বাউন্স ঠিকমতো সামলাতে পারেননি। লিডিং এজ হয়ে জমা পড়েছেন অ্যাবটের হাতে। তাতে ৩৪ বলে ৩৬ রানে থেমেছেন তানজিদ। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার।

আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৬২

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামলেও শুরুটা দুর্দান্ত করেছে বাংলাদেশ। পুনের পিচে শুরুতে সতর্ক ব্যাটিং করলেও ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন দুই ওপেনার। নবম ওভারেই লিটন-তানজিদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। পাওয়ার প্লেতেও স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৬২।

বাংলাদেশের সতর্ক শুরু

শুরুতে দেখে শুনেই খেলেছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার শট খেলার ক্ষেত্রে ছিলেন ভীষণ সতর্ক। তাতে ৫ ওভারে স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ২০। বাউন্ডারিও এসেছে মাত্র একটি।

টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে অজি দল

বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটি অজিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ না হলেও বাংলাদেশের জন্য ভীষণ রকম গুরুত্বপূর্ণ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা নিশ্চিত করতে চাইলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। আর হেরে গেলে তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত ও নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের দিকে। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খুব বাজেভাবেও হারা যাবে না। সেই দিকে নজর রাখতেই হবে।

তাছাড়া ডাচদের বিপক্ষে ভারত জিতলে বাংলাদেশের জন্য সমস্যা নেই। কিন্তু হেরে গেলে নেদারল্যান্ডস অষ্টম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত করবে। এমন ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস হেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে শান্তদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে তারা।

টস হারলেও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন জানিয়েছেন , শুরুতে তারা ব্যাটিং করতেন। অজি অধিনায়ক কামিন্স জানিয়েছেন, সকালের শুরুতে পিচ থেকে সুবিধা মিলতে পারে দেখেই বোলিং নিয়েছেন তারা।

একাদশে কারা

প্রত্যাশিতভাবে অস্ট্রেলিয়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে বিশ্রামে পাঠিয়েছে। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মিচেল স্টার্ককেও। ফিরেছেন স্টিভেন স্মিথ ও অ্যাবট।

বাংলাদেশ দলেও প্রত্যাশিত পরিবর্তন আসতোই। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব ছিটকে গেছেন। একাদশে স্থান হয়নি দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসানের। তাদের জায়গায় এসেছেন নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাওহীদ হৃদয়, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, জশ ইংলিস (উইকেটরক্ষক), মার্কাস স্টয়নিস, শন অ্যাবট, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজলউড।

Exit mobile version