বেরোবি প্রতিনিধি;সাজ্জাদুর রহমান
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত আবু সাঈদ হত্যায় জড়িত শিক্ষক ছাত্র কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তাছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিক্ষক সকল প্রকার লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবাার( ২৮ অক্টোবর)বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য ড.শওকাত আলী।
উপাচার্য বলেন, “শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী ও ছাত্রদের একাডেমিক তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজি , টেন্ডারবাজি, ও হল দখল কারি সকল প্রকার লেজুড় ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ থাকিবে। এ কথাটি সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইনে লেখা আছে কোন শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী কোন দলে সদস্য হতে পারবেনা। আগে কেমনে হলো তার উত্তর খুঁজতে হবে।
তাছাড়া আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় যে সকল কর্মকর্তা কর্মচারী শিক্ষক জড়িত ছিল পরে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ মামলা করবে।
আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে উপাচার্য বলেন,যে সকল ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ লংঘন করেছে লংঘন করেছে তাদের মধ্যে ৩ ক্যাটাগরি করা হয়েছে।যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়েছে মামলার আওতায় আনা হবে। যে সকল শিক্ষার্থী এখনো ছাত্রত্ব আছে তাদের মধ্যে একটি পক্ষ আত্মপক্ষ জন্য আসছিল এবং আরেকটি পক্ষ আসেনি। এদের ক্ষেত্রে এক সেমিস্টার দুই সেমিস্টার তিন সেমিস্টার বাতিল করা। অথবা ছাত্রত্ব বাতিল করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দুইজন মশিউর রহমান আসাদুজ্জামান মন্ডল সাতজন কর্মকর্তা, এদের সবার বিরুদ্ধে মামলা হবে।
আবু সাঈদ হত্যার মামলাটি কোন প্রক্রিয়ায় হবে বললে তিনি জানান, আবু সাঈদ হত্যার মামলাটি তিনি সরাসরি আদালতে করবেন।
তাছাড়াও যে সকল শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী এখন পর্যন্ত অনুপস্থিত আছেন তাদের বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ও তাদের ছুটি নামঞ্জুর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।