ইরানের অভ্যন্তরে ইসরাইলের বিমান হামলাকে ‘সার্বভৌমত্ব এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। তবে সৌদি বিবৃতিতে ইসরাইলের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
দেশটি উত্তেজনা নিরসনে সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম অনুশীলনের জোর দিয়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান এবং সংঘাতের অবসানের দিকে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) এক ভিডিও বার্তায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ‘আমি এখন নিশ্চিত করতে পারি যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে আমরা পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা শেষ করেছি। হামলার লক্ষ্য সফলভাবে অর্জিত হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা ইরানে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ও সুনির্দিষ্ট স্থানে হামলা চালিয়েছি। ইসরাইল রাষ্ট্রের তাৎক্ষণিক হুমকিকে ব্যর্থ করে দিয়েছি। ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী তার মিশন পূরণ করেছে’।
ইসরাইল আরো বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন ক্ষেত্রগুলো থেকে গত যে ১ অক্টোবর ইসরাইলে ইরানের সর্বশেষ হামলা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, গত ১৪ এপ্রিল এর আগের হামলায়ও এসব ঘাঁটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
এ দিকে ইরান দাবি করেছে, ইসরাইলি হামলায় ‘সামান্য ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে। তারা এসব হামলা সফলভাবে মোকাবেলা করেছে। একইসঙ্গে ইরানের অভ্যন্তরে ইসরাইলে ১০০ যুদ্ধবিমান প্রবেশের দাবিও নাকচ করে দিয়েছে তেহরান।
গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলা এবং ইসরাইলের পাল্টা হামলার মুখে তেল আবিব এবং রিয়াদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন প্রক্রিয়া থমকে যায়। হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার হত্যাকাণ্ডের পর নতুন করে এই প্রক্রিয়ার ওপর কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরইমধ্যে সম্প্রতি রিয়াদ সফর করে এসেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।