খুব কৌশলী প্রশ্ন। ইসলামে কম বয়সে বিয়ে জায়েজ। কম বয়সে মা হলে, মেয়েদের শারীরিক জটিলতা হতে পারে। এই কারন দেখিয়ে ইদলমিক নিয়মকে ত্রুটিপূর্ণ প্রমান করার চেষ্টা করেছে।
ছবির এই মেয়েটিকে দেখুন। ব্রিটেনের এই ১৬ বছরের মেয়েটি মা হয়েছে। এটা কোন ব্যতিক্রম ঘটনা নয়। এমন আরো হাজার উদাহরণ আছে।
একেবারে প্রথম সারির কোন একটি পশ্চিমা দেশ বেছে নিন। তেমন দেশের কোন একটি গ্রামে গিয়ে দেখুন। সেসব গ্রামে একটি সাধারন দৃশ্য হলো – ১৭ বছরের মেয়েদের কোলে বাচ্চা। শুধু তাই নয়, সেই বাচ্চার বাবার কোন খোজ নেই। বিয়ে না করেই ১৭ বছর বয়সে মা হয়েছে। এমন দৃশ্য গ্রামে গিয়ে দেখার কারন হলো – শহরে অনেক বহিরাগত মানুষের বসবাস। বহিরাগতদের কম বয়সে বাচ্চা থাকে না। কম বয়সে বাচ্চা থাকে স্থানীয় মেয়েদের। তাদেরকে গ্রাম পাওয়া যায। অন্যের কাছ থেকে শুনে বলছি না। তেমন দৃশ্য আমি নিজে দেখেছি।
- বোঝা গেল – উন্নত দেশগুলোতে কম বয়সের বিয়ে ঠেকাতে পেরেছে। কিন্তু কম বয়সের অবৈধ সম্পর্ক এবং কম বয়সে মা হওয়া, ঠেকাতে পারেনি।
আমেরিকাতে ৫০টি প্রদেশ আছে। তার মধ্যে মাত্র ৮টি প্রদেশে বিয়ের জন্য সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর। ৯টি প্রদেশে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৭ বছর। ২৫টি প্রদেশে ১৬ বছর। ২টি প্রদেশে ১৫ বছর। বাকি ৬টি প্রদেশে কোন সর্বনিম্ন বয়স নেই !!
- অর্থাৎ, আমেরিকার বেশিরভাগ অঞ্চলেই ১৬ বছরের মেয়ে বিয়ে করা জায়েজ (বৈধ)।
মাত্র ১৬ বছর বয়সের বিয়ে জায়েজ (বৈধ) করে, আমেরিকা কি মেয়েদের শারীরিক জটিলতার ব্যবস্থা করেছে? নাকি পশ্চিমারা যেটা করে, সেটাই ভালো?
আমাদের দেশে মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর। বিশ্বের অন্যান্য কিছু দেশে সর্বনিম্ন বয়স ১৬-১৭ বছর। কাদেরটা সঠিক?
সন্তান জন্ম দেবার সঠিক বয়স আই-ডি কার্ড বা সার্টিফিকেটে থাকে না। সঠিক বয়স পাওয়া যায শরীরে। হ্যাঁ, শরীর আপনাকে সঠিক বয়স জানিয়ে দেয়।
একটা নির্দিষ্ট বয়সে, নারী ও পুরুষ উভয়ের দেহ ও মনে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যায়। ওটাকে বয়ঃসন্ধি (puberty) বলে। সেই পরিবর্তন দেখেই বোঝা যায়, ছেলে/মেয়ে প্রাপ্ত-বয়স্ক হয়েছে। এই পরিবর্তন দেখে বোঝা যায় তারা সন্তান জন্ম দেবার জন্য উপযুক্ত হয়েছে।
হুবহু একই সময় সবাই প্রাপ্তবয়স্ক হয় না। কেউ ১৭ বছরে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। কেউ আবার ১৪ বছরেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায়। দেরী করে হলেও সবাই ১৮ বছরের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায়।
একজন সুস্থ্য মানুষের ১৮ বছর বয়স হয়েছে। তখন ধরে নেওয়া যায়, সে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেছে।সেজন্য বিয়ের বয়স ১৮ নির্ধারন করেছে।
বোঝা গেলো – সন্তান ধারণের বয়স বোঝা যায় শরীর দেখে। উপযুক্ত বয়স হলে, শরীর সেটা জানিয়ে দেয়। বিষয়টা প্রাকৃতিক, আল্লাহর সৃষ্টি। কম বয়সে বাচ্চা নেওয়া যায় না। শুধুমাত্র উপযুক্ত বয়স হলেই শরীরে বাচ্চা জন্ম হয়। এটা বুঝেই পশ্চিমারা ১৮ বছরের নিচে বিয়ে জায়েজ (বৈধ) করেছে।