বেলাল আজাদ, নিজস্ব প্রতিবেদক (কক্সবাজার):
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার জাহাঙ্গীর আলম চাঞ্চল্যকর পর্নোগ্রাফি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথা নিয়েও বহাল তবিয়তে রয়েছে। সি.আর-৮৭১/২৪ (দায়ের তাং-১৭/১২/২৪ ইং) যাহার জি.আর নং-৭২১/২৪, উখিয়া থানার মামলা নং-৩৫, তাং-২৩/১২/২৪ ইং (ধারা: পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১)/৮(২)/৮(৩) সহ দণ্ডবিধির ৩৮৫/৩৮৬ ধারা) মামলায় আদালতের আদেশ থাকা সত্বেও অজ্ঞাত কারণে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। পুলিশ বলছে চৌকিদার জাহাঙ্গীর পলাতক, কিন্তু এলাকাবাসী বলছেন, চৌকিদার জাহাঙ্গীর বহাল তবিয়তেই আছে। চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী হয়েও অধরা চৌকিদার জাহাঙ্গীর আলম জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব সোনারপাড়া (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রামের ফরিদ আলমের পুত্র।
জানা যায়, ২০১৮ সালে চৌকিদারী পাওয়ার পর থেকে চাঁদাবাজি, নারী কেলেংকারী, সাধারণ মানুষকে নানা ভাবে হয়রানী, প্রতারণা ও মানবপাচার সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়া কুখ্যাত চৌকিদার জাহাঙ্গীর ইতিপূর্বেও মানবপাচার মামলায় দীর্ঘ কারাভোগ করেছে। তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী একাধিকবার মানববন্ধন করেছেন। একাধিকবার পত্রিকার শিরোনামও হয়েছে চৌকিদারীর সাইনবোর্ডে নানা অপরাধে অভিযুক্ত চৌকিদার জাহাঙ্গীর। স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার হাফেজ মাওলানা জালাল আহমদ এবং জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকারী প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কালাম উভয়েই জানান, চৌকিদার জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে আত্মগোপনে, সে ইউনিয়ন পরিষদের কোন দায়িত্বে নেই। চৌকিদার জাহাঙ্গীর আলম’র বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার এস.আই (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান এবং উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আরিফ হোছাইন জানান, চৌকিদার জাহাঙ্গীর আলম কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং চাঞ্চল্যকর পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজির মামলাটি তদন্তাধীন আছে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জবাব মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের চৌকিদার জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে ফৌজদারী মামলায় পলাতক থাকার তার চৌকিদারী নেই। এদিকে এলাকাবাসী বহু কুকর্মের হোতা চৌকিদার জাহাঙ্গীর আলম গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।