কবিতা —-আক্রান্ত রুচীবান শহর

কবি,কে,এম,তোফাজ্জেল হোসেন জুয়েল খান
সেই পুরাতন শহর এখন প্রাণহীন আক্রান্ত সস্তা ভাষার
ঢেওয়ে ভেসে গেছে সাগরের জলে মহিনি মিলের বোবা
কান্নার সৃতি পরে আছে যন্ত্রপাতি অর্ধেক গ্রাস শক্তিধর
জীবানূ মনুষ্য জাত আজব বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় দাপিয়ে
বেড়াচ্ছে আজ  হায় হায় কি সর্ব নাশ বিশ্ব এখন হুমকিৱ
মুখে ছোঁয়া লেগেছে দেশটিতে প্রভাত মোদের হয়না দেখা
তপ্ত তেপান্তর দেখি প্রকাশ্য দিবালোকে শিয়াল শকুনের
টানা টানি কৃষ্ণ ঠাকুরের উলঙ্গ কীর্তন দুর্ভিক্ষের রাত্রি
নামে বারো মাস ভয়া বহ শুধু প্রীত বন্ধনের সর্বনাশ মোদেৱ দেশে জনে জনে মণে মণে দীর্ঘশ্বাস বাতাসের সনে ভেসে বেড়ায় ঠায় পাবার নাই সাইক্লোন সিডরে ডালে ডালে জ্বলে ওঠে আগুন দিবা লোকে দেখি ধর্ষণ দেখি মায়ের ভাষা ওই
কর্কশ ধরনের আশা রাখি বুকে পায় না কিছুই তবু নয়নে দেখি চাহনি করুণ আমার সোনার দেশে অবশেষে  নামবে  ভ্রষ্টনীড় নগরে ও গ্রামে দুর্ভিক্ষের জীবন্ত মিছিল পথে পথে
শোভাযাত্রা চলে প্রার্থনা-ক্লান্ত তীব্র ক্ষুধা অন্তিম সম্বল রাজপথে মৃতদেহ এই দিবালোকে নিরন্ন আমার দেশে
আজ টলোমলো এ দুর্দিন থরোথরো জীর্ণ দুর্ভিক্ষ মড়কে
আজ ক্ষুধার কাফনে তার সর্বগ্রাসী মৃত্যু-অংগরাখা এ যেন  আগমন  বার্তা পদ্মার পাড়ের মত ক্ষয়মান জনতার তীর সামান্য অস্তিত্ব নিয়ে হাজারো মানুষের চোখ শঙ্কাতুর বুকে জেগে আছে ক্ষুধা দুর্ভিক্ষ বধির শোষণের পূর্ণ দেহ দেখা দিল পূর্ণ রূপ ধরি সে কী আর্তনাদ মৃত্যু সংখ্যাহীন ক্ষুধিতের ভীতি পদ্মার ভাঙনে এসে জমা হ’ল বুভূক্ষ শর্বরী  গড়াই নদীর
তীৱে এসে তাৱ ঘৃণা এ থেকে কারোৱ  হয়তো নিস্তার হবে না  এ যেন সর্বনাশা বাতাসে হচ্ছে প্লাবিত বাঁচানোর মালিক ওই প্রভু দয়াময় বারে বারে আজি ডাকি তারে সর্বদা সর্বময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজেতে নাই করি হেলা কুষ্টিয়ার মহিনি মিল চালু হক কেটে যাক সকাল রাত্রি সন্ধ্যাবেলা গাছে গাছে পাক পাখালির কল কাকলি মুখরিত হয়ে থাক  সর্ব অঙ্গে জুরি
রাখাল ছেলেরা সর্বদা ফলাক ভূমিতে ফসল- ভৱে থাক মোদের শহরে সুখ আনন্দ হাসি  ডাল ভাত পেট ভরে খেয়ে নিজ নিজ কাজ করি যৌবণে কাককে কুচকুচে সুন্দরী দেখায়  শ্রাবণের নদীকে কুমারী মনে হয় ক্ষমতার কথা মিথ্যা হলেও সৎ বাণী জানি টাকা থাকলে মূর্খরাও সব জ্ঞনী গুনি মহাজ্ঞানী দুঃখে যদি দুঃখ লাগে মাথায় দুটো চুল পাক
আদোপ কায়দা আজ লাউয়ের জানলায় কোউ কাউকে  সালাম নেহি করে আজকে মরলে কালকে দুদিন কেউ পড়ে সাদা জামা কেউ পরে কালো কে বা আবার রঙিন জামা গায়ে চলে বেশ ভালো কিছু জনে করে হাসা হাসি মারে কথার গুলি – আসলে পাগল সবজনাই স্বার্থ সকলে খুঁজি নিজের পায়খায় গন্ধ লাগে না পরের পায়খানায় গন্ধ বেশি করি ঘাটা ঘাটি নাক সিটকিয়ে রুমাল দিয়ে মুখ ডাকি এখন তো চারি
দিকে রুচির  দুর্ভিক্ষের  আনাচে — কানাচে হচেছ কানা কানি তুমি আমি কি বাঁধ পরেছি ছাড়ি শুধু মুখের বড় বড় বুলি কাচের চুড়ির মতন ভাঙগছে প্রতিনিয়ত আমাদের রুচি বোঁধ আর জ্ঞান এখন কি  আমি সইতে পারি অন্যের দেয়া ঘৃণা বা অপমান তবুও যখন প্রশ্ন কর রুচির দুর্ভিক্ষের অমৃত স্বাদ কি
মুচকি হাসি দেই না জবাব কই না কেউ কথা শোকে- বড্ড রুচির দুর্ভিক্ষের অভাব পড়েছে আমাদের বাংলাদেশে চোখের নদী উতলে ওঠে জল বয়ে যায় বুকে কিচ্ছুতে আর নেইকো রুচি মণ্ডা মিঠাই ফুলকো লুচি কেক পেষ্ট্রি আইসক্রিম ফল ফুলুরী ফুচকা ডিম তেল মুড়ী কি ঝাল বাদাম চপ চকলেট চুইংগাম যা খেতে দাও তাতেই বেজার
ধরছে হাজার দোষ ত্রুটি অনেক ক্ষণের চেষ্টাতে জানলো সবাই রোগটাকে পড়লে চোখে মোদের কিছু ভূল ত্রুটি বাড়ছে কুরুচি কথার বঙ্গপাল রুচি বিহিন চ্যানেল গুলোতে ভাষা হচ্ছে বেশামাল শুদ্ধ ভাষার বলি দিয়ে আঞ্চলি্ কতায় ভরে গিয়ে মানুষ এখন হচ্ছে বেশামাল শক্তিধর জীবানু করছে হাত ফাত মনুষ্য জাত আজব বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় দাপিয়ে
বেড়াচ্ছে আজ  হায় হায় কি সর্ব নাশ দেশ এখন হুমকিৱ মুখে ছট ফটায়ে মৱে ছোঁয়া লেগেছে তাই আমাদেৱ দেশের নতুন প্রজন্মের গায়ে  আমরা সবাই  এক রুচির দুর্ভিক্ষের কবলে আসে না প্রভাত মোর হয়না দেখা প্রভাতের রবি দিকে দিকে আমি দেখি ধূধূ মরীচিকা  তপ্ত তেপান্তর দেখি প্রকাশ্য দিবালোকে শিয়াল শকুনের টানা টানি কৃষ্ণ ঠাকুরের উলঙ্গ
কীর্তন রুচির দুর্ভিক্ষের রাত্রি নামে বারো মাস ভয়াবহ দেখি দেখি  প্রীত বন্ধনের সর্বনাশ মোদের দেশে জনে জনে মনে মনে দীর্ঘশ্বাস বাতাসের সনে ভেসে বেড়ায় ঠাই পাবার নাই ভাষা গুলো রুচির সংস্কৃতি গুলো মরে হচ্ছে  ছাঁয় রুচির দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে দেশে  সাইক্লোন সিডরের কবলে ডালে ডালে জ্বলে ওঠে আগুন দিবালোকে দেখি ধর্ষণ দেখি মায়ের
ভাষা ওই কর্কশ ধরনের আশা রাখি বুকে পায় না কিছুই তবু নয়নে দেখি চাহনি করুণ আমার সোনার দেশে অবশেষে নেমেছে রুচির দুর্ভিক্ষ ঘরে ঘরে তুমি আমি পড়ছি ভয়াল সর্বনাশে জমে ভিড় ভ্রষ্টনীড় নগরে ও গ্রামে দুর্ভিক্ষের জীবন্ত মিছিল পথে  ঘাটে মনে মনে দলে দলে দুর্ভিক্ষের শোভাযাত্রা চলে প্রার্থনা-ক্লান্ত তুমি আমি সকলেই আক্রান্ত তীব্র ক্ষুধা অন্তিম সম্বল রাজপথে মৃতদেহ এই দিবালোকে নিরন্ন আমার
দেশে আজ টলোমলো এ দুর্দিন থরোথরো জীর্ণ দুর্ভিক্ষ মড়কে আজ ক্ষুধার কাফনে তার সর্বগ্রাসী মৃত্যু-অংগরাখা আগমন  বার্তা পদ্মার পাড়ের মত ক্ষীয়মান জনতার তীর সামান্য অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কাতুর বুকে জেগে ছিল ক্ষুধা রুচির দুর্ভিক্ষ বধির শোষণের ভষার পূর্ণ দেহ দেখা দিল অপূর্ণ রূপ ধরি সে কী আর্তনাদ মৃত্যু সংখ্যাহীন ক্ষুধিতের ভীতি পদ্মার
ভাঙনে এসে জমা হ’ল  বুভূক্ষ শর্বরী  গড়াই নদীর তীৱে এসে তাৱ ঘৃণা এ থেকে কারোৱ  হয়তো নিস্তার হবে না  এ যেন সর্বনাশা রুচির বাতাসে  হচ্ছে প্লাবিত বাঁচানোর মালিক ওই প্রভু দয়াময় বারে বারে আজি ডাকি রুচির দুর্ভিক্ষ কেটে যাক সকাল রাত্রি সন্ধ্যাবেল  গাছে গাছে পাক পাখালির কল কাকলি মুখরিত হয়ে থাক  সর্ব অঙ্গে জুরি রাখাল ছেলেরা
সর্বদা ফলাক ভূমিতে ফসল ভরে থাক মোদের দেশে সুখ আনন্দ হাসি  ডাল ভাত পেট ভরে খেয়ে নিজ নিজ কাজ করি  সকলে মিলে একসাথে  মোরা জাত বিভেদ ভুলে গিয়ে আজ রুচির দুর্ভিক্ষ  মোকাবেলা করি   কাউকে অপমান করে নয় নিজের বিবেক বুদ্ধি থেকে নিজের বাংলা ভাষা বোধকে  সুন্দর  মারজিত  রুচিশীল  করি………………..!!
Exit mobile version