কবিতা
ডাক্তার
কবি,কে,এম,তোফাজ্জেল হোসেন জুয়েল খান
ডাক্তার ডক্টর কত শত ডিগ্রি হুমপতি এলোপতি দোকনে
বেচে একি সব খানেতে ডক্টরেট কি যে নাম ডাক এ যেন
ফাঁদ পেতে টাকা পয়সার ভেলকি ক লেখতে কলম ভাঙ্গে
নামের আাগে ডাঃ কি যে ফাজলামি গরু হয়ে গেলো সব
জাত আছে দাত নাই প্রভেদ আছে পেশা নাই নাই নাই নাই
তবুও পেশাদার ডাক্তার লিখে দেয় প্রেসক্রিপশন তাতেই
রোগী হয়রান এ দোকাব ও দোকান আবশেষে অজ্ঞান
ডাক্তার হবেন ডাক্তার মানুষসেবী কিংবা পেশাদার
হাসপাতালে রোগী মৃত্যুশয্যায় অসুখ নাহি সারে প্রাণপণ
চেষ্টায় স্বজনের আহাজারি ভূয়া ডিগ্রি পারেনি করতে রোগ
প্রতিকার ডাক্তার কহে আমার কার্য কেবলই চেষ্টা সেবা
শুশ্রূষা করি তাতেই গভীর নিষ্ঠা কখনো তিনি ফেরেশতা
কখনো ডাকে সব কসাই কখনো তিনি ছিনিয়ে আনেন মৃত্যুর
দুয়ার হতে কখনো লড়েন যমরাজের সাথে একলাই দিন
রাত ধরে ছুটে বেড়ান আর্তমানবতার সেবায় কখনো তাকে
গাল দেয় লোকে কখনো ধরে কোন লোকে পা অসুখ হলে
স্যার স্যার সেরে গেলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কখন অনিচ্ছাকৃত
ভুল হলে মাথায় রড়ের বাড়ি মারো সেরে গেলে টাটা বাই
বাই ডাক্তার তো কারও পিতা কারো স্বামী কিংবা কারো ভাই
কতজন বসে থাকে তার একটু সান্নিধ্যের অপেক্ষায়
ডিজিটাল দুনিয়ায় টাকার লোভে পরে রুগিকে মেরে ফেলে
অবলীয়ায় পাষান হৃদয় শূন্যতায় ডাক্তার তার নাম তিনি
ডাক্তার মশায় লেখা হয়না এই অপকমের কথা ইতিহাসের
পাতায় নীরবে নিভৃতে তবু সেবা নিয়ে যায় মানুষ যে অসহায়
জীবনের মূল্য যদি নাইবা পারো দিতে সম্মান দিতে মানুষের
কখনো ভুলোনা ভাই তুমিযে ডাক্তার ডাক্তার নাম তার সে
মহান টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে ঝোলা খালি করে এই টেস্ট
ও টেস্ট রোগী অবশেষে করে হায় হায় ও ডাক্তার তোমার
হাতে শত শত রুগী ঐ কবর দেশে দূমরে মুছরে কাঁদে ভূল
ভূলে তাদের জীবন শেষ করে এখন দামে বাড়ি গাড়িতে বসে
আজ অছো মহা শুখে কি লাভ মানুষকে দূবল করে ঠকিয়ে
ও ডাক্তার পৃথিবীটা বড় মায়ার জায়গা তার থেকেও পর
জীবনটা আরও মায়ার হবে মায়ায় পড়ে ভুল করে কি আর
প্রভু তোমাকে ছেড়ে দেবে বানাও যত বাড়ি গাড়ি
রাজসিংহাসন ওই রোগীর চোখের জলেই সব ভেসে যাবে !!
আমার এক বড় ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য শরনাপন্ন
হলাম নারায়নী হাসপাতাল ভেল্লোর,এটি শ্রীপুরামে
অবস্থিত, ভেল্লোর থেকে ১১ কিলোমিটার দুরে,
সুন্দর মনোরম পরিবেশে গড়ে তুলেছেন সেবার
মনোভাব নিয়ে, বহু নামী দামি ডাক্তারের নাম মাত্র
ফি এর বিনিময়ে সেবা দিচ্ছেন, সিএমসিতে সিরিয়াল
পেতে কষ্টকর কিন্ত এ হাসপাতালে স্বল্প দিনের মধ্যে
কাঙ্খিত চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব। আমার চোখ দেখানো শেষ করে চারিদিকের দৃশ্য দেখলাম কিছু ধারণ করলাম। ১০ থেকে ১২ ফুটের সিলিং ফ্যান আমার
দেখা প্রথম। হাসপাতালের কাজ শেষ করে পাশে এগিয়ে গেলাম সেখানে রয়েছে ভেল্লোরের স্বর্ণ মন্দির,
১০০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে বিস্তৃত মন্দির টি।
মন্দিরে ব্যবহৃত হয়েছে ১৫০০ কেজি স্বর্ণ, সত্যিই খুব
সুন্দর ও অসাধারণ শৈল্পিক কারুকার্য খচিত সমস্ত
মন্দিরের অবয়ব। প্রায় দেড় কিলোমিটার খালি পায়ে,
ফোন,ক্যামেরা বা অন্য কোন ডিভাইস ছাড়া নারায়নী
বাবার কাছে পৌছানো যায়, সেই সাথে আমাদের জন্য
প্রবেশ মূল্য ৫০০/- (বিদেশীদের) ভারতীয়দের জন্য
২৫০/- টাকা।
নারায়নী বাবা বহু ত্যাগে এখানে অধিষ্ঠিত হয়েছেন,
তাঁর বয়স বর্তমানে ৫২ থেকে ৫৫ এর মধ্যে।
আমি এখন বেশ কিছুটা অসুস্থ্য থাকায় তাকে দেখার
সৌভাগ্য হোলনা। আগামীতে সুস্হ্যতা ফিরে এলে
বাসনা পূর্ণ করবো তাকে দর্শন করবো এই প্রত্যাশায়।
দাড়িয়ে দেখছিলাম গাড়ি আর গাড়ি এসেই যাচ্ছে
একই ড্রেসে নারী পুরুষদের মিলন মেলা,তেমনি
দেখার মতো সিকিউরিটি ব্যাবস্হাপনা। অনিয়মের
কোন সুযোগ নাই এখানে।
চতুর্দিকে পাহাড় দিয়ে ঘেরা, পৃথিবীর স্হলভাগকে
শক্ত করে রাখার জন্য পাহাড়কে পেরেক হিসাবে
ব্যবহার করা হয়েছে, বলা হয়েছে সমতল ভুমি হতে
যতটা উপরে বড় বড় পাথর তেমনি এর নিচে
বেশী রয়েছে বড় বড় পাথরের স্তর। এজন্য এদেশে
পাথর কাটা বা পাথর সরানো গর্হিত অপরাধ।
আমাদের দেশে যেন কঠোরভাবে বিষয়টি দেখা হয়
রইলো সবার কাছে সবিনয়ে অনুরোধ রেখে ইতি
টানছি সেই সাথে দোয়া প্রত্যাশা করছি।
( ছবিঃ নারায়নী হাসপাতাল ভেলোর )
Post Views: 265
Like this:
Like Loading...
Related