কবিতা
সেদিন ছিলো ৭১
কবি,কে,এম,তোফাজ্জেল হোসেন জুয়েল খান
১৯৭১ ভয়াবহ যুদ্ধ ঝাঁজাল মেশিন গান
কামান আর গোলা বারুদের শব্দ বিন্দু
বিন্দু রক্ত ঘাম কনিকার মাঝে প্রাণের
স্পন্দন কি যে ভয় হৃদপিণ্ড বন্ধ হয়ে
আসছে প্রতিনিয়ত আমার উঠোন জুরে
যুদ্ধের ঝড়ো হাওয়ায় হিংস্র শঙ্খচিলের
দাপাদাপি দৌড়ে এলো কুচ কুচে কালো
রাজাকার গাঁয়ে খাকি শার্ট কি যে ভয়াবহ
সকুনের মতন পচা গন্ধের ঘ্রানে ঠুঁকরে
খেলো বিকালের গোধূলি বেলার সব সৌন্দর্য
ঠুঁকরে খেলো সুন্দর আকাশের চাঁদ তারা
জোছনায় খেলা করা জোনাকি ভয়াল থাবার
বিন্দু বিন্দু ঘাম রক্ত কনিকার মাঝে স্পন্দন
নেই হৃদপিণ্ডও বন্ধ হয়ে আসে মায়াবি জোছনা
রাতের চাঁদনি তিথি নেই শ্যামা চন্দ্রিমা আকাল
বেলা মুখ লুকিয়েছে মেঘে আজ প্রভাতও
ফ্যাকাশে লাগে স্যঁতসেতে আর রক্তের স্রোতে
কোথা থেকে যে না চেনা হানাদারের দল ডুবা
কেঁদা ভেঙ্গে উৎসব করে খায় লুটেপুটে স্পন্দন
নেই নেহি হৃদপিন্ডও ওহু কি যে ভয়াবহ সেই ৭১
লুট যায় গরু মহিষ লুট যায় ঘড় লুট যায় মা
বোনের ইজত টাকা পয়সা সব দরজার ফাঁক
যেসে মায়ের আঁচল ধরি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দু
নয়নে চোখ ভাসি তুলিয়া ঢিলটি হাতে মারিলাম
মাথা পেচে টাস করে লেগে ফেঁটে গেল মাথা
খান রাজাকার দিলো ছুট নাহি খুঁজে পেল মুখ
চিনি আজও আমি তাদের এক খান কাগজেতে
মাথা উচু শির উচু মোটা মোটা বান্ডিল গোনে হাতে
লাগিয়ে দিয়ে থুথু বেশ বেশ মুক্তিযোদ্ধার বেস আহা
যে কি মধুর মাস শেষে তেল ডাল ঘরে বসে পেয়ে
যায় সাদা জামা ধোঁয়া পেন্ট পড়ে দোশের সেবা করে
হায় ফ্যাকাশে লাগে স্যঁতসেতে আর রক্তের স্রোতে
গ্রামের পর গ্রাম করে দিয়ে উজার আগুনে আগুনে
কোথা থেকে যে না চেনা হানাদারের দল ডুবা
কেঁদা ভেঙ্গে উৎসব করে খায় লুটেপুটে স্পন্দন
নেই নেহি হৃদপিন্ডও ওহু কি যে ভয়াবহ সেই ৭১ !!