কবিতা

বাংলা মা
কবি কে,এম,তোফাজেজল হোসেন ”জুয়েল খান”
বাংলা মা সে মহাজ্ঞানী মহা ধনবান অসীম ক্ষমতা তার অতুল
সম্মান আর সম সিন্ধু জল প্রতিভা তার অক্ষুণ্ন উজ্জ্বল  বাস
রম্য হর্ম্য মাঝে থাকুক সে মণিময় মহামূল্য সাজে তাহার রূপ
চন্দ্রের উপম বীরেন্দ্র সেই যেন সে রোস্তম শত শত দাস তার
সেবুক চরণ করুক স্তাবক দল স্তব সংকীর্তন কিন্তু যে
সাধেনি কভু জন্মভূমি হিত স্বজাতির সেবা যেবা করেনি
কিঞ্চিৎ জানাও সে নরাধমে জানাও সত্বর অতীব ঘৃণিত সেই
পাষণ্ড বর্বর বাংলা মায়ের হাতের পিঠা বাংলা মায়ের কোল
ভুলিতে পারিনি কোন কিছু আমি হরসে খেয়েছি দোল
বিদেশে বসিয়া দুঃখ জ্বালা পৌহায়েছি আমি কত সেখানে
বসিয়া কাব্য চর্চা ভুলিতে বসেছি আরও ভোর বেলাতে
মোয়াজেমের আজানে ঘূম ভাঙগীয়েছে কত সূর্য উঠলে তাঁর
রুপ রসেতে মন ভরিয়েছে কত ভূল করিয়া বিদেশে বসিয়া
কেন জীবন করিতেছি কালো শাপলা ফুঁটে রঙেগ হাঁসে তাঁর
পদ্ম হাঁসে লাল রংঙেগ স্বাধীনতার সৈনিক দের রক্তে মাখা
জামা আগলীয়ে তাঁদের বুঁকে গ্রামের কৃষকেরা ধূলী মাখা
হাতে সোঁনালী ফসল কাঁটে রুপ রেখা তাঁর মায়া ভড়া যেন
বাংলা মায়ের বুঁকে কোকিল শ্যামা আর দোয়েল টিয়া গান
ধরেছে গাছে গাছে তায় দেখিয়া রাখাল ছেলেরা বাঁশি
বাজায় মধুর সুরে বাংলা মায়ের ছয় ঋতুতে অনেক রুপের
জাদু আছে ভূলব ভূলব ভেবেও কেন ভূলতে পারিনা তাকে
বাংলা মা   গো জন্মভূমি তোমারি পবন দিতেছে জীবন মোরে
নিশ্বাসে নিশ্বাসে সুন্দর শশাঙ্কমুখ উজ্জ্বল তপন হেরেছি
প্রথমে আমি তোমারি আকাশে ত্যাজিয়ে মায়ের কোল
তোমারি কোলেতে শিখিয়াছি ধূলি খেলা তোমারি ধূলিতে
তোমারি শ্যামল ক্ষেত্র অন্ন করি দান শৈশবের দেহ মোর
করেছে বর্ধিত তোমারি তড়াগ মোর রাখিয়াছে প্রাণ দিয়ে
বারি জননীর স্তন্যের সহিত জননীর করাঙ্গুলি করিয়া ধারণ
শিখেছি তোমারি বক্ষে বাড়াতে চরণতোমারি তরুর তলে
কুড়ায়েছি ফল তোমারি লতার ফুলে গাঁথিয়াছি মালা
সঙ্গীদের সঙ্গে সুখে করি কোলাহল তোমারি প্রান্তরে আসি
করিয়াছি খেলা তোমারি মাটিতে ধরি জনকের কর শিখেছি
লিখিতে আমি প্রথম অক্ষর ত্যাজিয়া তোমার কোল যৌবনে
এখন হেরিলাম কত দেশ কত সৌধমালা কিন্তু তৃপ্ত না হইল
এ দগ্ধ নয় ফিরিয়া দেখিতে চাহে তব পর্ণশালা তোমার
প্রান্তর নদী পথ সরোবর অন্তরে উদিয়া মোর জুড়ায় অন্তর
তোমাতে আমার পিতা পিতামহগণ জন্মেছিল একদিন
আমারই মতন তোমারি এ বায়ু তাপে তাঁহাদের দেহ
পুষেছিলে পুষিতেছ আমায় যেমন জন্মভূমি জননী মা গো
আমার যথা তুমি তাঁহাদেরও সেইরূপ তুমি মাতৃভূমি তোমারি
ক্রোড়েতে মোর পিতামহগণ নিদ্ আছেন সুখ জীবলীলা শেষে
তাঁদের শোণিত অস্থি সকলি এখন তোমার দেহের সঙ্গে
গিয়েছে মা মিশে তোমার ধূলিতে গড়া এ দেহ আমার তোমার
ধূলিতে কালে মিশাবে আবার বিদেশ  আমাকে দেয়নি শোভা
ঘাম শুকানোর শিতোল ছাঁয়া দিয়েছে শত গনজনা আর
দুঃখের মাঝে লাঠী ঝাঁটা নিজের দেশের মায়া ভরা গাঁয়
আবার নিজেকে করে নিয়ে ঠাঁই  মাকে ভূলিনি ভূলতে
পারিনি অপরুপ তাঁর অমৃত শোভা সোনা মাখা এক আলোর
ছয়া যে মোদের দেশের আঙগীনা ঘূম আসেনা আসেনা
মাগো যাযাবর হয়ে  কি পরদেশে রব বুক ভোরে শ্বাস পারি
না নিতে রাখালীয়া বাঁশি কানে যে বাজে ঘূমের ঘরে স্বপ্নে
আমার বাংলা মায়ের ছবি  ভাসে অনেক দেশ গুরেছি মাগো
সিঙগাপুরে কর্ম করেছি কাব্য লিখেছি কত রুপ সন্দর্য্য যে
হামাগুরি খায় মোদের নিজ দেশে বাংলা  মায়ের  ঢাক
ঢোলের শব্দ শুনেছি দুর থেকে বাংলার খাল বাংলার নদী
রুপ রেখাতে আর  কত কি কৃষকে কৃষকে সোনার ফসল
করছে কাঁটা কাঁটি হাসনা হেনা ও কৃষন  চূরা সন্দর্যে তাঁর
অপরুপ রেখা গাছে গাছে পাখীর শত ডাকা ডাকি
দোয়েল শ্যামার কত নাচা নাচি অপরুপ এক দৃশ্য সে যে
পড়ে পড়ে  খায় শত  গড়া গড়ী আমার বাংলাকে সারাজীবন
যেন আমরা সকলেই সোনা মাখা এক আলোর ছয়া যে
মোদের দেশের আঙগীনা ঘূম আসেনা আসেনা মাগো
যাযাবর হয়ে  কি পরদেশে রব বুক ভোরে শ্বাস পারি
না নিতে রাখালীয়া বাঁশি কানে যে বাজে ঘূমের ঘরে স্বপ্নে
আমার বাংলা মায়ের ছবি  ভাসে অনেক দেশ গুরেছি
সিঙগাপুরে কর্ম করেছি কাব্য লিখেছি কত রুপ সন্দর্য্য যে
হামাগুরি খায় মোদের নিজ দেশে বাংলা  মায়ের  ঢাক
ঢোলের শব্দ শুনেছি দুর থেকে বাংলার খাল বাংলার নদী
রুপ রেখাতে আর  কত কি কৃষকে কৃষকে সোনার ফসল
করছে কাঁটা কাঁটি হাসনা হেনা ও কৃষন  চূরা সন্দর্যে তাঁর
অপরুপ রেখা গাছে গাছে পাখীর শত ডাকা ডাকি দোয়েল
শ্যামার কত নাচা নাচি অপরুপ এক দৃশ্য সে যে পড়ে পড়ে
খায় শত  গড়া গড়ী বাংলা  আমার  মা আমার বাংলাকে
সারাজীবন যেন আমরা সকলেই  ভালবাসি ।।
Exit mobile version