কবি ও গীতিকার এ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম সরকার রচিত কাব্যগ্রন্থ “কুহক” এর মোড়ক উন্মোচন হয়েছে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ “কাব্যিক ব্যঞ্জনায় বিমোহিত হোক হৃদয়” -এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কবি-গীতিকার, মানবাধিকার কর্মী, বিশিষ্ট আইনজীবী এ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম সরকার রচিত কাব্যগ্রন্থ “কুহক” এর মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা সভা ও তার কাব্যগ্রন্থ থেকে কবিতা আবৃত্তি শ্রোতাদের মাতিয়ে তুলেছিল দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনের মঞ্চে।
দিনাজপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের প্রবীণ সহযোগি সদস্য এ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম সরকার রচিক কাব্যগ্রন্থ “কুহক” এর মোড়ক উন্মাচন করতে গিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কানিজ রহমান বলেন, আমি কবি নই তবে কবিতাকে শ্রোদ্ধা করি- সম্মান করি। এ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম সরকার একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে “কুহক” কাব্যগ্রন্থটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু বলেন, “কুহক” কাব্যগ্রন্থটি মানবজাতির কল্যাণে সোচ্চার কন্ঠস্বর হতে পারে। মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে পারে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল। আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন কবি জলিল আহমেদ, কবি মাসুদ মুস্তাফিজ, লেখক ও গবেষক ড. সৈয়দ রেদওয়ানুর রহমান, ড. মারুফা বেগম, সমাজকর্মী রশিদুল আরা আরফিন, কবি ও গবেষক চাষা হাবীব, কবি ও প্রাবন্ধিক আযাদ কালাম, কবি মোঃ লাল মিয়া, প্রফেসর মো: সাজেদুল ইসলাম, কবি জিনাত রহমান, কবি ও শিল্পী কমল কুজুর এবং কবিতার ছোটকাগজ কাব্যকথার সম্পাদক কবি নিরঞ্জন হীরা। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর নাট্য সমিতির সাধারণ সম্পাদত রেজাউর রহমান রেজু, প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক কাশী কুমার দাসসহ সাহিত্য পিপাসু ব্যক্তিবর্গ। কবিতা আবৃত্তি করেন কবি অদিতি রায়, শু-সমিতা, সুবর্ণা মুর্খাজী, মাসুদা খাতুন, ইফফাত আলী তানিশা, সাবিনা ইয়াসমিন ইতি, তানিয়া রব্বানী, মালিহা বিন্দে মাসুদ, সারবিনা নূর শাপলা, মো: হাসান আশকরি, লুৎফর নাহার শাপলা, সারিকা নাওয়াজ সৃজনা ও মামুনুর রহমান জুয়েল। “কুহক” কাব্যগ্রন্থের লেখক কবি ও গীতিকার এ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, আমি লেখাজীবী নই, কবিতাজীবীও নই, আমি শুধু একজন চেতনাচাষী। সৃজনশীলতা সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে অসম্প্রদায়িক ও জাতীয়তাবাদী মানুষ হিসেবে ভালোবেসে মনোনশীল কিছু করতে চাই। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রভাষক হারুন-উর-রশিদ।

Exit mobile version