কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজারে আগুন, ক্রেতারা বিপাকে।

বায়েজীদ পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :
পলাশবাড়ীতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কালিবাড়ি মসলার বাজারে আগুন,বিপাকে ক্রেতারা। জীবন বাঁচাতে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। হাতের নাগালের সবকিছুরই দাম, আদা ৪০০ টাকা কেজি,জিরা ৯৬০ টাকা কেজি,দারচিনি ৪০০ টাকা কেজি,এলাচ ১২০০ টাকা কেজি,সাদাফল ১৬০০ টাকা কেজি,কালোফল ১২০০ টাকা কেজি, গোলমরিচ ১০০০ টাকা কেজি,কালাজিরা ৪০০ টাকা কেজি, ডালের মসলা জাহিরী ৪০০ টাকা কেজি,মরিচের গুড়া ৫০০ টাকা কেজি, হলুূদ ২২০ টাকা কেজি,সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা কেজি,পিয়াজ ৭০ টাকা কেজি,কাচা মরিচ ২৪০ টাকা কেজি,। পাশাপাশি মাছ মাংস ডিম দুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এতে নিম্ন আয়ের মানুষের বেঁচে থাকা যেনও দায় হয়ে পড়েছে। অনেকে হাটে এসে মসলার বাজারে না গিয়ে খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
আবার কেউ বাধ্য হয়ে বেশি দামে বাজার করে নিয়ে যাচ্ছে বাড়িতে তবে ক্রেতাদের অভিযোগ নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
সোমবার (২৬শে জুন) ঐতিহ্যবাহী পলাশবাড়ীর কালীবাড়ি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মসলার বাজারের মসলার দাম শুনতেই নাভিশ্বাস নিচ্ছেন ক্রেতারা।
অন্যদিকে রুই মাছ ২৪০ টাকা কেজি, কাতলা মাছ ২৫০ টাকা কেজি, সিলভার মাছ ২০০ টাকা কেজি, ট্যাংরা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ফলে সবকিছু দাম উদ্ধগতির জন্য মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষের বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে, হাটে বাজার করতে আসা নিম্ন আয়ের মানুষ সিএনজি চালক রবিউল জানান, তিনি বাজার করতে এসেছেন মসলার দাম শুনে হতাশ হয়ে মসলা না কিনে ফেরত যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি সারাদিন কাজ করে পারিশ্রমিক পাই মাত্র ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
তিনি আরো বলেন, আমরা গরিব মানুষ এত টাকা দিয়ে মসলা কিভাবে কিনে খাব চরম হতাশ হয়ে পড়ছেন।
কালিবাড়ী বাজারে বাজার করতে আশা  সুজিত কুমার ডন নামে আরেকজন বলেন, মাছের বাজারে গিয়ে হাফ কেজি ওজনের একটি মাছ কিনেছি ১৩০ টাকা দিয়ে। মসলার দোকানে গিয়ে আমার মাথায় পাহাড় ভেঙ্গে পড়েছে কিভাবে মসলা কিনবো এত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যেভাবে দিন দিন মসলার দাম বাড়ছে তাতে মানুষের দশ দায় হয়ে পড়েছে।
বাজারে দোকানদার শ্রী রকি সাহা বলেন, পাইকারি বাজারের মসলার দাম বেশি হয় তারা বেশি দামে মাল কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এতে তাদের কোন হাত নেই বলে তিনি জানান।
Exit mobile version