– হ্যাঁ।
– ডিভোর্সের কারণ?
– আমার সফলতা।
– একটু ক্লিয়ার করে বলবেন প্লিজ?
– যখন আমার বিয়ে হয় আমার পরিচয় ছিল, আমি এক ব্যবসায়ীর মেয়ে। বিয়ের পর চার বছর আরেক ব্যবসায়ীর স্ত্রীর পরিচয়ে বেঁচেছি। এখন আমার একটি সম্মানীয় পরিচয় আছে। একটি কলেজের লেকচারার আমি।
– বাহ দারুণ তো।
– হ্যাঁ দারুণ। এই দারুণটাই আমার হাজব্যন্ড মেনে নিতে পারেননি।
– কেন!
– কারণ এখন আমি তার শখের নারী নই।
– জি ?
– তার বক্তব্য, সফল নারীরা কোনো পুরুষের শখের নারী হয় না।
– কী বলছেন এটা কেমন চিন্তা ধারা!
– সমাজের চিরাচরিত সস্তা চিন্তা ধারা।
– আপনার কষ্ট হয় না?
– স্বপ্ন পূরণ হলে সুখকে আলিঙ্গন করতে হয়, দুঃখকে নয়।
– আপনি খুব শক্ত ধাচের মেয়ে মানুষ।
– নিজের স্বপ্ন পূরণে মেয়েদের শক্ত থাকতে হয়৷
– আপনি বহু নারীর ইন্সপিরেশন।
– সফল হতে চাও?
– হোয়াই নট, সিয়র।
– সফল হতে চাইলে নিজের স্বপ্নকে পূরণ করতে হবে৷ স্বপ্ন পূরণে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের ত্যাগ করতে হবে। স্বপ্ন পূরণে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের ত্যাগ করাকে ধীশক্তি বলে। ধীশক্তির অধিকারী সব নারী হয় না, হতে পারে না৷
একজন সফল পুরুষ একজন সাধারণ নারীর শখের পুরুষ হলেও একজন সফল নারী কখনোই একজন সাধারণ পুরুষের শখের নারী হয় না। সফল নারীরা আসলে সাধারণ, অসাধারণ কোনো পুরুষেরই শখের হয় না। হাজারে এক, দুইজন হয়তো ডিফারেন্ট থাকে। পুরুষের শখের নারী হতে চাও? সফলতার স্বপ্ন দেখো না। সফল হতে চাও? পুরুষের শখের নারী হওয়ার আশা রেখো না।