কে এম তোজাম্মেল হোসেন সোহেল।
১৯৯১তে এস এস সি নিজের পিত্রি ভুমি খোকসা থানা থেকে পরীক্ষার্থি হই।

বাল্যকাল থেকেই খারাপ রেজাল্ট করতে শিখিনি মটে কালেই। সাররা ধরেই নিয়েছিলেন একটা কিছু।
আমার বাবা ছিলেন আমার গাইড মেকার।এস এস সি পরিক্ষা হাজির হবার দিন পনেরো আগে আমার বাবা ক্যনসার পেসেন্ট হয়ে পড়লেন।
আমি আমার বাবার বড় সন্তান। মরোনাপন্য যুদ্ধ করেছেন আমার বাবা।হসপিটাল সি এম এইস এ বাবাকে রেখে আমি আমার এস এস সি পরিক্ষা দিয়ে শুধু ফাষ্টডিভিষন নিয়ে পাস করেছিলাম।
রেজাল্ট হবার পরে ডাক্তারবাবু বুঝেছিলেন উনার জিহবায় ঘাঁ হয়েছে। জিহবার অংশবিশেষ ফেলে দিলে উনি ভাল হয়ে যাবেন। হয়েছিলোও তাই। দুঃর্বদ্ধ পরিস্হিতির মোকাবেলা শেষে আমার জীবনে সারদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন আর সম্ভব হয়ে ওঠে নাই।
আমি ঢাকা সিটি কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়তাম।প্রেম ভালবাসার জীবনে নিজেও কোন মেয়ের প্রেমে জরিয়ে পড়লাম।
দুদুবার রেজাল্ট ব্রেক হল আমার।আমি দেশে ফিরে আবার আমার বাবার কাছে নতুন প্রস্তুতি নিয়ে ইন্টারমিডিয়েট ও বিকমে সেন্টারে প্রথম হয়ে উত্তিন্য হয়েছিলাম।
আমার বাবাই আমার স্বপ্ন ভোমড়া ছিলেন। একদিন জীবনের প্রয়োজনে সাহ্ সিমেন্টে চাকুরি নিয়ে ছিলাম। আমি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,আইপিএস প্রধান,কর্ণেল, মেজর,জর্জ কোনটাই হতে পড়িনি বলে আমার বাবা নিজে বৃদ্ধ বয়সে এল এল বি আর এম এস এস পড়েছিলেন।
চাকুরি জীবন আমার। আমি তখন এ্যাকাউন্টিং-এ এম কম পাস। একদিন পুনরায় চাকুরির ফাঁকে মার্কেটিং-এ এম কম পড়েছিলাম। শুধুমাত্র ঢাকা বোর্ড আমাকে বুঝে নিতে পেড়েছিলনা বলে। তেজগাঁও সরকারি কলেজে মার্কেটিং-এ মাষ্টার্স করেছি। জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয় বোডের ক্যামপাসে মিছিল করেছি।আমার ফর্মফিলাপের দিন শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে।ফর্মফিলাপ করবো বলে।
আমি মালিবাগ আবুজর গিফারি কলেজে মার্কেটিং রেগুলার ক্লাস পেয়েছি।শেষমেস আমি তেঁজগাও কলেজ থেকেই মার্কেটিং -এ এম কম কমপ্লিট করেছি।তখনো আমি শাহ্ সিমেন্ট কোম্পানিতেই কর্মরত ছিলাম।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে একাউন্টিং -এ মাষ্টার্স পড়েছি।
কে এম তোজাম্মেল হোসেন সোহেল।
১৯৮৮ সন। ৮৬তে বিকম পাস শেষে ডিপ্রেশন কাঁটাতে কুমিল্লার চদ্দগ্রামে প্রতিষ্টিত ডলি রের্সট-এ চিপ একাউন্স নিয়ে কাজ করেছিলাম। চাকুরি জীবনে give and take honarity বুঝেছিলাম।
কত মানুষ চলছে এমন জীবন নিয়ে।নামায পড়লে সৃষ্টিকর্তাই কিছু পেয়ে বসেন। তখন তিনিও খুশি হন। বুছে নিলাম এটাই সুদ্ধ কাজ। বাবা মায়ের আদরের সন্তান ছিলাম আমি।যা সিখেছি এভাবেই শিখেছি।
বংশ পরোমপড়ায় বাবার আদর্শে বড় হয়েছি। চিনির সড়বোত খেতে চিড়ে মুড়ি বুঝে নিতে হয় নি আমার কোন কালে। জন্ম বোধির হলে জন্মের বোধির পরিবেশ উপভোগ করতে হয়।আমি রাশির বিয়োগ যোগই বুঝিনি কোন কালে।
কত ছুটে আসা ট্রাম,বিলাস বহুল গাড়ি রের্সটে এসে দাঁড়িয়েছে। আমার ব্যাবহারে যাত্রি,ড্রাইভার মুগ্ধ হয়েছেন। আমি, খুশি হয় নি কোন সময়।শরীরের নানান অঙ্গভঙ্গি আমাকে ভাবিয়েছে।
হাতের আঙ্গুলের ধরনফ্যারে পড়েছি। নিজেকে বড্ড বেমানান ঠেকেছে।
বাংলাদেশের এক চিত্রনায় আমার বন্ধু ছিলেন।ওর সঙ্গে ওখানে হঠাৎ একদিন দেখা। কফির পেয়ালা আর কথার মাঝে ও কনিষ্টা আঙ্গুল উচিয়ে ধরে বলল বন্ধু তোর ওয়াসরুমটা? আমি বল্লাম ঐতো এইখানটায়। জন্ম বোধির ছিলাম কিনা জানিনে।বুঝলাম কনিষ্টা আঙ্গুল বেটা দুষ্টু লোক।
দির্ঘ দুবছর ছিলাম আমি রের্সটে।শেষমেস আমি কুষ্টিয়া নিজের পিত্রালয়ে ফিরে এলাম।
আমি তখন কুষ্টিয়া সরকারি কেলেজে একাউন্টিং-এ এমকম পড়া শুরু করলাম।আল্লাহ্ সর্শক্তিমান আল্লাহ্।উনি আমাকে সমস্ত বিষয়াবলি নিমেষে প্রস্তুত করে দিলেন। আমি ওখানে হোষ্টেলের একটা রুম ঠিক করে নিলাম।শুরু হল আমার হিসাববিজ্ঞানে মাস্টার্স জীবন।
প্রতিদিন ক্লাসে যাই,আসি। ফিরে হোষ্টেলে লিরিক গান উৎসবে মেতে উঠি হ্যালো মোবাইল নাম্বার,শফিক বাউলের ঘরোয়া উৎসব।
আমার হোষ্টেলের আমার রুমে রাত্রি ১২ টার পড়ে নিজের মত করে দড়জা জানালা আটকিয়ে পড়ার টেবিলে বসেছি। আমি যে খাবার খেতাম আমার রুমে। টেবিলের পাসে রাধুনি এনে দিয়ে যেতেন প্রত্যেকের যার যার মতন। খেয়ে দেয়েই পড়তে বসেছি।
হঠাৎ দেখি, যে সসপেনে খবার ডাকা ছিল, সেই সসপেন তার ঢাকনা উঠে সসপেনের উপরে নাচছে। আমি পড়ার টেবিলে বসে আছি। আবাক হয়ে গেলাম আমি।গায়ে খেঁমচি কেটে বুঝার চেষ্টা করলাম আমার অনুভুতি।
এক সময় সসপেনের ঢাকনা বন্ধ হয়ে গেল। ঢাকনার নাচানাচি বন্ধ। ওখান থেকে একটা বিড়াল বেড়িয়ে দুপা উচু করে খমা চাইবার ভঙ্গিমায় কিছুটা সময় দাড়িয়ে থেকে, সেইখানেই বিড়াল উধাও হয়ে গেল। আমি কি ভয় পাবনা বলুন। ভয় পেয়ে পড়ের দিনই ঐ হোষ্টেলের আমার ঘর, পানি, সাবান, আর গুলাপ পানি দিয়ে ধুয়ে দিলাম। কিছুটা সময় নেয়ামুল কোরআন থেকে বেশকিছু দোয়া পড়ে নিলাম।
সেই রাত্রে ঘুমিয়েছি।হঠাৎ বেসটা হাওয়া বাতাস শুরু হল। খানিক বাদেই সমস্তটা ঘর যেন নুড়ের আলোয় ঝল মল করতে লাগলো। তখন অবাক হোলাম বুঝলেন। আমার ছোট বাবু ইয়া প্রসস্ত হয়ে পড়লো। আমার শরীর, আমি বুঝবোনা বলুন ? নুড়ের আলোয় সারা ঘর ঝলমল করছে আর আমার ছোটবাবু আল্লাহু জিকির করছেন। অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে আমার সারা ঘরে সাদা জুব্বা পড়া আর হজের পাগরি মাথায় বড় বড় হুজুর কাকুরা জিকির শুরু করে দিলেন। কি ভঙ্গিমায় আমার ছোটবাবু জিকির করছে। একেত ভয় তার পরে ছোট বাবুর জিকির আমি কি আবাক হব না বলুন।
ক্লাসে যাওয়া পড়াশুনা করা চলছে তার মতই।শুধু রাত্রি হলে যত সব অবাক কান্ড।
আমার হোষ্টেলের অল্প কিছুটা দুরে তামাক টোবাকোর আজিজ আকিজ কোম্পানি। আমি রোজ রাতে ঘুমিয়ে পড়লে ঘুমের মধ্যে সমস্তটা ঘর প্রখর তামাক গন্ধ ঘর আর আমার নাক ঘিরে ধরত।অল্প কিছুটা পড়েই বেশ বড়সর প্রসস্ত দুধে আলতা বেটা মানুষ আমার শরীরে ঢুকার চেষ্টা করলে আমি জেগে যেতাম।আবাক হোতাম মানুষটা আমার শরীরে ঢুকে যেত। আমি বুঝে নিতাম প্রতিটা দিন। মানুষের বাঘ মামার সঙ্গে মন্ত্রবুলির বন্ধুত্ব দেখেছি। এমনটা সুনিনি,দেখিওনি। আমি আমার জীবনে পেয়েছি।
মধ্য রাতে ঘুমিয়ে আছি হোষ্টেলে। হঠাৎ একটা গোকোড়া সাপ উরে এসে আমার গলার মধ্যে ঢুকে গেল। ঘুম ভেঙে গেল আমার। সমস্ত গলাটা ভার,কিছু একটা ঢুকে আছে গলা পেচিয়ে।শুধু আমিই বুঝেছি কি গলার মধ্যে ঢুকে গেছে।দীর্ঘ সাতসাতটা দিন আমার মাঝে অসস্তি আমাকে ঘিরে রেখেছে।
হোষ্টেলেই পড়িসংখান টিসারের কিছু বাড়ির কাজ সেড়ে ঘুমিয়েছি। হঠাৎ একজন দাড়িপাকা চাচার গায়ে প্রহার করার ছটফটানি আর আত্ম চিৎকার শুনলাম।
গলা থেকে সাপ ঐ চাচার মাড়ধোর করার খানিক আগে বের হয়ে গেল। যেন সেই, সেখানে গিয়ে অপরাধি পিটোচ্ছে। ঘুমের ঘোরে তখন আমার ছোট বাবুর অবাক কোন সুন্দরি পড়ির পরিপুন্য মিলামেসা হয়ে গেল। সকালে দেখি যে সুন্দর পড়ির সঙ্গে আমার মিলামেসা হল পাসের বাড়ির ব্যাডমিন্টনের মাঠে খেলছেন।অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।আমার গলাতেও সেই ভার অনুভুতি নেই।
হঠাৎ চোখোচোখি হলে মিষ্টি একটা হাঁসি হেসে মেয়ে পড়িটা বাড়ির ভিতরে চলে গেলেন।পড়ের দিন সকালে দেখি সেই মেয়ের বড় ভাইকে কারা যেন গুলি করে মেড়ে ফেলেছে। অবাক হয়ে ট্রেনে চড়ে বাড়ি এসেছিলাম আমি সেদিন।দুই চার দিন বাদে হোষ্টেলে ফিরেছিলাম।
হোষ্টেলের সামনে একটা সুন্দর রাজগোরস্হানের সঙ্গে রাজপাথর খচিত মসজিদ ছিল।আমার পড়ার টেবিল থেকে দেখা যেত।বন্ধু বান্ধব নিয়ে হৈহুল্লোর সেরে আমি বেশটা রাত্রি হলে পড়ার টেবিলে যেতাম।যতোটা সময় আমার প্রয়োজন হত আমি নিতাম।
গভির রাত্রি বেলায় আমি পড়ছি। আমার পড়ার টেবিলের জানালাটা খোলা। মিষ্টি অন্ধকার।হঠাৎ জনমানবহীন মসজিদ নুড়ের আলোয় ঝলমল করছে। আমি বিশ্বয়দৃষ্টিতে দেখছি।মসজিদের যে বড় দড়জাটা, বন্ধ।সব দুধে আলতা পাগড়ি পড়া কাকুরা ওজুর চেয়ারে বসে ওজু করছেন।অনেক কাকু।সমস্ত মসজিদ নুড়ের আলোয় ঝলমল করছে। ওজু সেষ হলে মসজিদের দড়জা খুলে গেল। একটা কাকুর নুড়ের পাগরি ঝলমল করছিল। ঐ কাকুর ইমামতিতে নামায পেষ হলে সব অদৃশ্য হয়ে গেল।
অবাক সব জীবন পঞ্জিকা পুঞ্জিকায় রেখে আমার হিসাববিজ্ঞানে মাস্টার্স পড়া শেষ করেছিলাম।আজ আমার বন্ধুরা কে কোথায় আছেন কিছুই জানি নে।
শাহ্ সিমেন্টে আমি একজন ডেভলপার ছিলাম।
কে এম তোজাম্মেল হোসেন সোহেল।
শাহ্ সিমেন্ট কোম্পানিতে আমি তোজাম্মেল একজন ডেভলপার ছিলাম। এক একটা এলাকা উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম আমাকে করতে হয়েছে। অন্যরা যে কাজ ধরতে বুঝতে পারতেন না, আমি দক্ষতার সঙ্গে তার বিজয় নিশান উরাতাম।
মার্কেটেই পড়ে থেকেছি বলে কোন বড় বাবু হয়তো আমাকে চিনতেনি না। গাছ লাগাতে কত মেহনত করতে হয়। শুধু গাছ লাগালেন তাতেই শুধু হল না। কতটা মেহনত শেষে ফল খেতে পাড়া যায়।
কোম্পানির বড় সব বাবুরা ধরা ফল খেতেই বেশি ভাল বেসেছেন। বুদ্ধিমত্যার কত বড় বড় পরিচয় দেবার সুযোগ পেয়েছেন উনারা। ভাত আর আগুন কি এক হল বলুন।
খাবারের টেবিলে পরিবেশন করা বাবুরি বাহাদুরিটা বেশি। বিচক্ষনোতার পরিচয় দেওয়া যায়। বাবুচ্চি বেটায় মোটাসোটা সুকনো কাঠের চেলা হাতের কাছে পেয়েছেন আর আগুন জ্বালিয়ে বেটায় রেঁধেছেন।
যাইহোক,চোখের সমনে থাকলে প্রেম জমে ভাল। আর চোখের আড়াল হলে গাছের ফল কি কেটে আপনার জন্য রাখা সম্ভব হয়ে উঠে বলুন।
মেহনতের ফল বড় বড় বাবুড়াই খেতেন। না আমরা সামনে এসে দাঁড়ালে একটু আকটু আমাদেরও দিতেন। তাই একেবারেই না বলি কি করে।
বরাবরি প্রসংশা করতেন বড়সব বাবুরা আমাকেও।আমিতো বেশটা নাগিনি সাপের মত ফুলে ফুসে উঠতাম।
ভাল কাজ করি,প্রশংসা আর বাহাদুরির ঝুলি নিয়ে ঘুরি।আমার সিনিয়র আমাকে তো আর এর পরে হেটে হেটে মারর্কেট করতে দেবেন না। আমি বললাম আমিতো ড্রাইভ করতে জানি নে। আমি এমনটাই ঘুরি।আমার সিনিয়র বললেন, না না তোজাম্মেল সাহেব গাড়ি না নিয়ে ঘুরলে এখন আর হবে না। আমিতো আমার সিনিয়রের কথা শুনে রাতে ঘুমই আসি নি।
আমিতো ড্রাইভটা জানি নে। ঘুম থেকে উঠে আমার সিনিয়রের বাসায় মোবাইল করে বসলাম।আমার সিনিয়রকে বললাম গাড়ি দিলে আমাকে ড্রাইভার দিতে হবেতো। না হলে আমার পক্ষে কোম্পনির হয়ে সময় দেওয়াটা সম্ভব হবে না।
শেষমেস আমার সিনিয়র আমাকে একটা জিপ গাড়ি আমাকে দিলেন।সঙ্গে ডাইভারো দিয়ে দিয়েছিলেন।আমি দির্ঘদিন ওই জিপে চড়ে মার্কেটে কাজ করতাম। একদিন আমি রাস্তায় বড়সর এ্যাকসিডেন্টে পড়ি।সমস্ত শরীরে মস্ত আঘাত পাই। নানান ইনজুরি হওযায় ডাক্তার রেষ্টে যেতে বলেন। সাত দিন পরে কাজে ফিরেছিলাম।
এক মাস কন্টিনিউ হলে,এক দিন বাসায় ফিরে রাতে ঘুমিয়েছি।কিন্তু সকালে আর আমার বিছানা থেকে উঠা সম্ভব হল না। ৪ বছর আমি বিছানায় পড়ে গেলাম।সাভার সি আর পিতে চিকিৎসা রত ছিলাম।তার পরে আমার আর সাহ্ সিমেন্টে সময় দেওয়া সম্ভব হয় নি।১৯৯৮ সাল।
সাহ্ সিমেন্টের চাকুরি।গাজিপুরে পোষ্টিং। উন্নয়ন প্রকল্প।সকাল ১০ টায় অফিসে হাজিরা দিয়ে বের হতে হয়। আর ফিরতে ফিরতে সেই বিকেল ৫টা বেজে যায়।
পথে বের হয়েছি। পথের ওপাসটার ফুটপাত দিয়ে হাঁটছি।একজন ছালা দিয়ে লুঙ্গি আর বৌদ্ধ সেড়োয়ানি পড়া বাবড়ি চুল ওলা লোক পথি মাঝে আমার ডান হাত চেপে ধরল।পথ আটকালো।
আমিতো জুব্বাচুলওলা পাগল দেখে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। পাগল বললেন, আমি আজ ৪ দিন খাই নাই বেটা। দে আমাকে কয়টা টাকা দে। আমিতো অপ্রস্তুতই।
আমি বললাম, আমার কাছে তো এখন তোমাকে দেবার মত কোন টাকা নেই কাকু। তখন পাগল বললেন, দেখ বেটা কত লোক রাস্তায়, কত টাকা কত টাকা। কই আমিতো নেই নে-নেই নে। তুই দে আমার খাওয়ার টাকা। বেটা বড্ড খিদে।
আমি সত্যিয় দিশে হাড়িয়ে বসলাম। অফিস টাইম। রাস্তায় অফিসি কাজ। যেতে হবে জয়দেবপুর হাই কোট এর ঠিক কাছে কোন সিমেন্ট দোকানদার নুড় ইসলামের দোকান শোরুমে। কিছু কাজ বুঝনোর কাজে। কোম্পানির কাজ। সবসময় কি টাকা থাকে কাছে বলুন।
দুইটা ২০০ টাকার নোট পকেটে পুড়ে বেড়িয়েছি। ঘরে বউ পোলাও কুড়মা রাধেন ঠিকই। কিন্তু টাকাটা ভগোবানি যে বয়ে এনে দিয়ে যান এই টাস্তার কোন কাজে উনি কি আর বোঝেন।
আজকে ভগোবান প্রথম বেলাতেই পেয়ে বসেছেন।রক্ষে পাবো বলে মনে হয় না। ভাবনাটা মনে এমন ডানা পাকালেও পাগলের কথা বাত্রায় অবাক হোলাম।
দে বেটা আমার টাকা। খিদে, মেলা খিদে। আমি ওকে আমার টাকার থেকে ১০০ টাকা দিয়ে দিলাম।পাগল আমাকে বললেন,তোর বেটা অনেক টাকা।বামে পথে টাকা,বেকা পথে টাকা।বেটা তুই ভাল তুই ভাল।প্রচুর টাকা। বেকা জ্ঞান বেকা কথা বেকা পথে কত কাম কত টাকা। নিযে যাবি চলে যা। আর যাবিনে সামনে যে পথ দেখলি, যা -যা।
কেমন বিহবল হয়ে পড়লাম। কি বললেন পাগল কাকু। কোথায় পাগল কাকু কোথায়, আর পাগল কাকুকে খুঁজে পাইনি কোন কালে।
প্রয়োজনের রাস্তা ২০০ টাকা হলে যাওয়া যেত।১০০টাকা পাগল কাকু খাবেন বলে দিয়েছি।অগত্য রুট বদলিয়ে ফোনে কাজ সারা ছাড়া উপায় কোথায়। অন্য ব্যাবসায়ির আগাম তাগিদ দিয়ে ওর ওখানটাতেই আসর জমিয়ে বসলাম।
দিনটা এ ভাবেই নেবো সেই তখন থেকেই ভেবে নিয়েছিলাম। ভদ্রলোকের গাজিপুর সাইনবোর্ড মোড় মেন রাস্তায় দোকান শোরুম।
হঠাৎ হৈ হট্টোগোলে চারিদিক উলোট পালোট অবস্হা।যেখানটায় আমার যাওয়ার কথা ঠিক সেখানের ঐ হাইকোটে বোমা পতা বাজি বিস্ফোরণে প্রচুর মানুষ ওখানেই মাড়া গিয়েছে। কিছু মানুষ মাথা নাক বুক ধরে দৌড়চ্ছে।সারা শরীর রক্তে ভেজা।অবাক হয়ে আমি আমার পাগল কাকুর কথা ভাবলাম।আল্লার দড়বারে কৃতজ্ঞ হয়ে হতবাগ হয়ে মর্মাহতদের দিকে চেয়ে রইলাম।
হে আল্লাহ তোমার অফার নিলে। আমাকে তুমি দয়া কর।।আর সুপথে পড়িচালনা কর।আজ কত বড় সন্মান সাহ্ সিমেন্ট কুড়িয়েছেন।
ধর্মাবতাই জানেন আজ উনি কাকে খুশি করবেন । সাহ্ সিমেন্ট কোম্পানির আবুল খায়ের গ্রুপের প্রধান মন্ত্র ছিল কোম্পানির কোথায়ো কোন ভাবে মেয়ে লোক এন্টি পাবেন না।
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হল রুজিরুটির জায়গা। কোন অবস্হাতেই কোন মেয়েলোক কোম্পানিতে, তার ডিলার পয়েন্টে, ইভেন সেখানে কাষ্টমার পর্যন্ত হতে পাড়বেন না। যদি কোন নিয়মের হেরফের আপনি করলেন তো আপনার পজিষন নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
চলছে প্রতিষ্ঠান তার নিজেস্ব আঙ্গিকে।যুগযামানার বিবর্তনের শ্লোগান আত্মচিৎকার করে বলছে বন্ড টু বিল্ড। প্রগতির উড়োজাহাজ সমুদ্রে, রাজপথে, ঐ সিমাহিন দিগন্তে উড়ছে।
কামান, গুলাবারুদ,পিস্তল, কতকিছু নিয়ে।সিমানা,সিমানার বাইরে দ্বীপচরের উদভাবনা নিয়ে।
একদিন গাজিপুরে বিজয় নিশান পুতে মাওয়না থানায় বদলি নিয়ে বিবর্তনের শ্লোগান দিয়েছি বন্ড টু বিল্ড। জাগো বাহে নতুন সকালকে আনতে হবে ধরে এই দেশে।
মানুষ আমার ডাকে সাড়া দিল। আমি প্রগতির দূত, উদ্পিপ্ত হোলাম।বাংলার ঘাটে মাঠে সাহ্ সিমেন্ট।
২০০০সনে আমি আমার সিনিয়রকে বললাম জীবনে বাঁচতে গেলে এবং সুস্হ ভাবে বাস্তে গেলে আপনার বউ প্রয়োজন হয় কিনা। যদি প্রয়োজন হয় স্যার, কেন প্রয়োজন হয়।
এই প্রশ্ন আমার কোম্পানিকে ভাবিয়েছেন। সরকারো জেগেছেন২০০০ সনে। আমি অনেক বড় বাজি ধরেছি।এসআর,এস পি নিয়োগ দিয়েছি,আর সর্বপ্রথম আমি বাজি ধরে জিতেছি।
আবিস্কার হয়েছে মহা বিজয়। আমি সর্ব প্রথম নিশান উড়িয়েছি।এসিয়া মহাদেশের দ্বীতিয় স্হানকারি কোম্পানিতে মেয়েদের কর্মজীবনের নিশ্চযতা আমি প্রথম দিয়েছি। চাঁদকে কি ছোঁয়া যায় কখনো। তাই বোঝেননি কেউ কখনো।
বৃহত মাওয়না থানা উন্নয়ন শেষে আমি বদলি পেয়ে ঢাকাধিন সাভার পৌরসভায় গিয়েছি।পুনরায় বাজি ধরেছি দেশ সংস্কারের উন্নয়ন কল্পে।
তুজাম্মেলের বিজয়ি শ্লোগান বাজিয়েছি।আর অন্ধকার নয়,ভিতি নিয়ে অর মড়বোনা এই দেশে।জাগো বাহে আমি তোজাম্মেল এসেছি তোমাদের দেশে।
১০ দিনের মাথায় ১০০ ট্রাক চুড়াই পথে বেড়িয়ে আসা সিমেন্ট ট্রাক আটকিয়েছি। আমি পুড়াতন সব ডিলার আস্তানা ভেঙ্গে দিয়েছি।ওরা আমাকে জিপে হাইজাক করেছে।আল্লাহ্ আমাকে বাঁচিয়েছেন।আমি আজো বেঁচে আছি।তেল ছারা কি বাতি জ্বালিয়েছেন কেউ কোন কালে।
আল্লাহ্ বন্দবস্তকারি, আল্লাহ্ তেলের ব্যাবস্হা দিয়েছেন। আমি তোজাম্মেল বেঁচেই আছি।সাহ্ সিমেন্ট কোম্পানি আজ বাংলাদেশের বুকে সন্মান ছিনিয়ে নিয়েছেন।
কত মেয়েদের অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। জনজীবন নিরাপদ হয়েছে। আজ আমার চোরের অপবাদ নিয়ে কোম্পানি থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
কবিতা।
অথচ কোরআন ভুলে যাবে।
কে এম তোজাম্মেল হোসেন সোহেল।
চুরা বালি চুরা বলে
তুই ইমান নিতে পাড়িস,
চোর হলে।
বেইমান,
জন্মায় কি আর
জাতি বুঝে।
মায়ের মর্যাদা কি,
মা ছাড়া কেউ বোঝে।
কি মানুষ তুই,
গর্ভে সন্তান জন্মালেও
মা বোঝেনা কেউ তোকে,
কোন কালে।
পাপি মানুষ পাপি বলে,
পাপ বোঝেনা তাকে
কেউ কোন কালে।
ভাল মানুষেরি পাপি বোঝে,
তারা সব খানে।
তাদের বিচারে,
পাপিরাই জয়ি হয়
ওদের ধর্মগুনে।
রাষ্ট্রে,
অধিনায়ক প্রয়োজন হলে
যোগ্য প্রার্থি হবে পাপি বলে।
তখন যোগ্যতার ক্ষয় হবে,
মুল্যমান নেই বলে।
কতটাই অবিবেচক হবে,
মানুষ বিপদে পড়বে বলে।
কত অনুসুচনা করে,
লোকে।
পা কেটে ব্যাথা পাবার পড়ে।
দুনিয়া ধ্বংস হবার পড়ে,
ইয়া নফসি ইয়া নফসি,
চিল্লাবে।
অথচ,
কোরআন ভুলে যাবে।