বর্তমানে বলিউডের শীর্ষস্থানীয় নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম ঐশ্বর্য। বোল্ড ফোটোশুট থেকে হৃতিকের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা, লিপ লক থেকে রণবীর কাপুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা সবেতেই লাইমলাইটে রয়েছেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। রিল থেকে রিয়েল তারকাদের পুরোটাই যেন গসিপে মোড়া। সেই তালিকায় নিঃসন্দেহে রয়েছে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। অভিনয় থেকে রিলেশন সবসময়েই লাইমলাইটের শীর্ষে বচ্চন বধূ। বির্তক, সমালোচনা কোনভাবেই যেন তার পিছু ছাড়ে না। বচ্চন পুত্র ঐশ্বর্যকে নিয়ে সর্বদাই সরগরম টিনসেল টাউন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া। নীল মণির জাঁদুতে আসমুদ্র হিমাচল জুড়ে তার অগণিত ভক্ত। তাকে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেয় দর্শকমহলে। কেরিয়ারের শুরুতেই বলিউডের ভাইজান সলমন খানের সঙ্গে তার গদগদ প্রেমের কথা আজও সকলের জানা। অবাধ মেলামেশা, শারীরিক সম্পর্কই একসময়ে ঐশ্বর্যর গোল্ডেন কেরিয়ার নষ্ট করেছিল। শুধু তাই নয়, এই প্রেমই যে তার জীবনের বড় সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে তা মনে হয় দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি রাই সুন্দরী।
বলিউডের প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। বি-টাউনে একের পর এক অভিনেতার সঙ্গে বারবার নাম জড়িয়েছে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের। অভিনয় থেকে রিলেশন সবসময়েই লাইমলাইটের শীর্ষে থেকেছেন বচ্চন বধূ। বলিউডের প্রথম সারির তাবড় তাবড় অভিনেত্রীরা তাদের ফিল্মি কেরিয়ার শুরু করেছিলেন দক্ষিণী সিনেমা দিয়েই। বলিউডে আসার আগে বেশ কয়েকটি দক্ষিণী ছবিতেই নজর কেড়েছিলেন ঐশ্বর্য। প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনও নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তামিল ছবি দিয়ে। ১৯৯৭ সালে মনিরত্নমের ছবি ‘ইরুভার’-এ তাকে প্রথম দেখা গিয়েছিল।
রিল থেকে রিয়েল তারকাদের পুরোটাই যেন গসিপে মোড়া। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনও রয়েছেন সেই তালিকায়। বলিউডে পা রাখার পর হাম দিল দে চুকে সানাম, তাল, দেবদাস, তাল, জোশ মহব্বতে, একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া। সমস্ত পরিচালক-প্রযোজকরাই তাদের ছবিতে কাস্ট করতে চাইছিলেন ঐশ্বর্যকে। তাকে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেয় দর্শকমহলে।
বি টাউনের চর্চিত কাপলদের মধ্যে অন্যতম ঐশ্বর্য-সলমন। প্রেম থেকে ব্রেক আপ সবটাই যেন চর্চিত বিষয়। কেরিয়ার যখন মধ্যগগণে,তখনই ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমায় সলমন খানের সঙ্গে ডেটিং করছিলেন ঐশ্বর্য। একটা সময় কেরিয়ার থেকে ব্যক্তিগত জীবন, সবেতেই সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন সলমন। এককথায় নিজের হাতে বি-টাউনে ঐশ্বর্যাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সলমন।
কেরিয়ার যখন মধ্যগগণে,তখনই ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমায় সলমন খানের সঙ্গে ডেটিং করছিলেন ঐশ্বর্য। বি-টাউনে তখনও সেভাবে জমি পাকাতে পারেন নি ঐশ্বর্য। অন্যদিকে সলমন বেশ প্রতিষ্ঠিত। কেরিয়ার থেকে ব্যক্তিগত জীবন, সবেতেই সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন সলমন। কেরিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনের টালমাটাল পরিস্থিতিতেই বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। যার ফলে গোল্ডেন কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যায় সহজেই।
১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ সিনেমার সাফল্যের পরেই পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি তার স্বপ্নের প্রজেক্ট ‘বাজিরাও মস্তানি’ সিনেমায় সলমন-ঐশ্বর্যকে কাস্ট করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন তা করতে রাজি হননি ঐশ্বর্য। পরে ২০১৫ সালে রণবীর-দীপিকা ছবিতে অভিনয় করেছিল।
‘ভুল ভুলাইয়া’ ছবির অফারও প্রত্যাখ্যান করেছিল ঐশ্বর্য। যেটি সুপারহিটের তকমাও পেয়েছিল। কুছ কুছ হোতা হ্যায় ছবিটির অফারও করা হয়েছিল ঐশ্বর্যকে। কিন্তু তাতেও রাজি হননি ঐশ্বর্য। পরে ছবিটিতে রানি মুখার্জি অভিনয় করেছিল।
মধুর ভান্ডারকরের ‘হিরোইন’ ছবিরও অফার গিয়েছিল ঐশ্বর্যর কাছে। শুটিং শুরু করে গর্ভাবস্থার কারণে তা মাঝপথে ছেড়ে দেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ ছবির প্রাথমিক লিড কাস্ট ছিলেন শাহরুখ খান ও ঐশ্বর্য। সেই ছবি সুপারহিটের তকমা পেলেও ঐশ্বর্য করতে রাজি ছিলেন না।
‘বীর-জারা’ ছবির অফারেও রাজি হননি ঐশ্বর্য। পরে ছবিটিতে শাহরুখের বিপরীতে রানি মুখার্জি অভিনয় করেছিল। ‘দোস্তানা’ ছবিতেই ঐশ্বর্য-অভিষেকের করার কথা ছিল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে ছবি করতে নারাজ ছিলেন রাই সুন্দরী, যা পরে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া অভিনয় করেছিল।
‘চলতে চলতে’ ছবিতেও ঐশ্বর্য-শাহরুখ মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে লড়াইয়ের কারণে তা করতে রাজি ছিলেন না ঐশ্বর্য। ‘রাজা হিন্দুস্তানি’র মতো সুপারহিট সিনেমায় পরিচালকের পছন্দ ঐশ্বর্য থাকলেও তা করতে রাজি হননি রাই সুন্দরী। মধুর ভান্ডারকরের আরও একটি ছবি ‘কর্পোরেট’ প্রত্যাখ্যান করেছিল ঐশ্বর্য। যা পরে বিপাশা বসু অভিনয় করেছিল।
শারীরিক নির্যাতন,সন্দেহ, পরকীয়া, মারধর সব কিছুই সহ্য করতে হয়েছে প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে। ।যদিও সেই গদগদ প্রেম আজ অতীত। তবে নিজের কিছু ভুলের জন্য নষ্ট হয়ে গিয়েছিল কেরিয়ার, শুধু তাই নয়, নিজের ভুলেই চরম সর্বনাশ ডেকে এনেছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।