“ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল।” কীভাবে?
বেশ তাহলে প্রথম থেকেই শুরু করি-
“বেজায় গরম। গাছতলায় দিব্যি ছায়ার মধ্যে চুপচাপ শুয়ে আছি, তবু ঘেমে অস্থির। ঘাসের ওপরে রুমালটা ছিল, ঘাম মুছবার জন্য যেই সেটা তুলতে গিয়েছি অমনি রুমালটা বলল, ‘ম্যাও!’
কি আপদ! রুমালটা ম্যাও করে কেন?
চেয়ে দেখি রুমাল তো আর রুমাল নেই, দিব্যি মোটা-সোটা লাল টকটকে একটা বেড়াল গোঁফ ফুলিয়ে প্যাট্-প্যাট্ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি বললাম, ‘কি মুশকিল! ছিল রুমাল, হয়ে গেল একটা বেড়াল।’ … ”
এবারে শেষ থেকে
“… হুকুম হল- ন্যাড়ার তিনমাস জেল আর সাতদিনের ফাঁসি। আমি সবে ভাবছি এ-রকম অন্যায় বিচারের বিরুদ্ধে আপত্তি করা উচিত, এমন সময় ছাগলটা হঠা ‘ব্যা-করণ শিং’ বলে পিছন থেকে তেড়ে এসে আমায় এক ঢুঁ মারল, তারপরেই আমার কান কামড়ে দিল। অমনি চারদিকে কি রকম সব ঘুলিয়ে যেতে লাগল, ছাগলটার মুখটা ক্রমে বদলিয়ে শেষটায় ঠিক মেজোমামার মতো হয়ে গেল। তখন ঠাওর করে দেখলাম, ‘মেজোমামা আমার কান ধরে বলছেন, ব্যাকরণ শিখবার নাম করে বুঝি পড়ে-পড়ে ঘুমোনো হচ্ছে?’ …”
তাহলে এটা স্বপ্ন ছিল!!
“… আমি তো অবাক! প্রথমে ভাবলাম বুঝি এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু, তোমরা বললে বিশ্বাস করবে না, আমার রুমালটা খুঁজতে গিয়ে দেখি কোথাও রুমাল নেই, আর একটা বেড়াল বেড়ার উপর বসে গোঁফে তা দিচ্ছিল, হঠাৎ আমায় দেখতে পেয়েই খচমচ করে নেমে পালিয়ে গেল। আর ঠিক সে সেই সময়ে বাগানের পিছন থেকে একটা ছাগল ব্যা করে ডেকে উঠল।
আমি বড়মামার কাছে এসব কথা বলেছিলাম, কিন্তু তিনি বললেন, ‘যা, যা, কতগুলো বাজে স্বপ্ন দেখে তাই নিয়ে গল্প করতে এসেছে।’ মানুষ বয়স হলে এমন হোঁতকা হয়ে যায়, কিছুতেই কোনো কথা বিশ্বাস করতে চায় না। … ”
উপসংহার
এবারে নিশ্চয়ই প্রশ্নকর্তার কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে যে কিভাবে রুমাল, বেড়াল হয়ে গিয়েছিল। যদি না পরিষ্কার হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার বয়স হয়েছে এবং আপনি …… হয়ে গেছেন।