ট্রাক চালকদের বিক্ষোভের মুখে কানাডার রাজধানী অটোয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা

এই জরুরি অবস্থা জারি করেন।

করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ট্রাক চালকদের বিক্ষোভের মুখে কানাডার রাজধানী অটোয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এই বিক্ষোভ চলছে এবং এর জেরে স্থানীয় সময় রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) অটোয়ার মেয়র এই জরুরি অবস্থা জারি করেন।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

জিম ওয়াটসন বলেছেন, পুলিশের চেয়ে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গেছে এবং এ কারণে শহরটি ‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে গেছে। তিনি বলেছেন, চলমান বিক্ষোভ শহরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্রাক চালকেরা অটোয়ার রাস্তাঘাট অচল করে দিয়েছে। রাস্তায় ট্রাক রেখে এবং তাঁবু তৈরি করে অবরোধ করে রেখেছে তারা। ট্রাকচালকদের জন্য কোভিডের টিকা বাধ্যতামূলক করা ও দেশটির সরকারের নেওয়া অন্যান্য বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।

কানাডার রেডিও স্টেশন সিএফআরএ’তে অটোয়ার মেয়র ওয়াটসন বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা শহরের মধ্যে ‘হর্ন এবং সাইরেন বাজিয়ে, বিভিন্ন জায়গায় আতশবাজি পুড়িয়ে রীতিমতো উৎসবে পরিণত করে’ ক্রমাগত ‘অসহিষ্ণু আচরণ’ করছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে আমরা সংখ্যায় কমে গেছি এবং আমরা হেরে যাচ্ছি। কিন্তু এ অবস্থা বদলাতে হবে এবং আমাদের শহর ফিরে পেতে হবে।’

যদিও সেজন্য পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি মেয়র। কিন্তু রোববার পুলিশ বলেছে, তারা কঠোর হবে, এর মধ্যে বিক্ষোভকারীদের যারা সাহায্য করতে আসবে তাদের গ্রেফতার করার মতো পদক্ষেপও নিতে পারে পুলিশ।

জরুরি অবস্থার ফলে শহরের কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং জরুরি সেবার জন্য ব্যবহার হওয়া যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারবে তারা এখন। শহর কর্তৃপক্ষের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চলমান বিক্ষোভের কারণে শহরবাসীর নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার ওপর ঝুঁকি ও বিপদের আশঙ্কা থাকার প্রেক্ষাপটেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।’

অটোয়ার বাসিন্দাদের অনেকেই ট্রাকচালকদের এই বিক্ষোভের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছেন। টিকা না নেওয়া ট্রাক চালকরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় ফেরার পর তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে গত ৩০ জানুয়ারি এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। কিন্তু টিকা এবং লকডাউন বিরোধী আরও হাজার হাজার মানুষও এই বিক্ষোভে যোগ দেয়।

বিক্ষোভের মুখে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার পরিবার রাজধানী ছেড়ে অজানা স্থানে চলে যান। বিক্ষোভকারীরা কানাডার পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। ফলে অটোয়ার কেন্দ্রস্থল অচল হয়ে যায়।

Exit mobile version