ড্র’তেই শেষ হলো চট্টগ্রাম টেস্ট

শেষ দিনে আভাস দিচ্ছিলো

তাইজুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে শেষ দিনে আভাস দিচ্ছিলো রোমাঞ্চের। তবে সব রোমাঞ্চ নিমেষেই মিশে গেলো নিরশন ডিকভেলা ও দিনেশ চান্ডিমালের ব্যাটে। চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনের শেষ বিকেলে কোনো ঝুঁকি নেয়নি দুইজন, তাদের বিপদেও ফেলতে পারেননি টাইগার বোলাররা।

ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানরা ৯০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৬০ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় দুইপক্ষ। প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানে অলআউট হয়েছিলো শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৪৬৫ রান করে বাংলাদেশ।

দুই টেস্টের সিরিজের প্রথমটিতে প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানের লিড পেয়েছিলো বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন দুই উইকেট হারিয়ে ২৯ রানে পিছিয়ে ছিলো সফরকারীরা। রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যদের লক্ষ্য ছিলো শেষ দিন দ্বিতীয় সেশনের মধ্যে লঙ্কানদের আটকে দেওয়া। নাগালের মধ্যে রান রেখে শেষ সেশনে জয়ের চেষ্টা করা। ওই পথ তৈরি করেও শেষ টানতে পারেননি মুমিনুলরা।

এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে লঙ্কানরা টস জিতে ব্যাট করে ৩৯৭ রান তোলে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৯৯ রান করেন অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল হতে এক রান দূরে থাকতে পূর্ব নির্ধারিত শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি। প্রথম ইনিংসে লঙ্কান টপ অর্ডার ব্যাটার কুশল মেন্ডিস (৫৪) ও দিনেশ চান্ডিমাল (৬৬) ফিফটি তুলে নেন।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে ৪৬৫ রান করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল খেলেন ১৩৩ রানের ইনিংস। প্রচণ্ড গরমে হাতে ক্রাম্প করায় রিটায়ার্ড হয়ে উঠে যান তিনি। পরদিন ব্যাটে নামলেও ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরিটা সামনে এগিয়ে নিতে পারেননি। পাঁচ হাজার থেকে ১৯ রান দূরে আউট হন।

মুশফিক খেলেন ১০৫ রানের ইনিংস। ধৈর্যর দুর্দান্ত পরীক্ষা দেন তিনি। মাত্র চারটি চারের মারে তিনশ’ ছোঁয়া বল খেলে সেঞ্চুরির আগে দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে পাঁচ হাজার রানের কীর্তি গড়েন ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। এছাড়া তরুণ ওপেনার জয় খেলেন ৫৮ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরির পথে থাকা লিটন দাস ৮৮ রান করে ফিরে যান।

Exit mobile version