প্রেস বিজ্ঞপ্তি
১। র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, র্দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ^াস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ০৫৩০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানাধীন স্বদেশ হাসপাতালে ইন্টারনেট ব্যবসার জের ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মুহাম্মদ শহীদুল্লাহকে কতিপয় দুস্কৃতিকারী পেটে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স¦দেশ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২০ ডিসেম¦র ২০২১ তারিখ রাত ১১০০ ঘটিকায় শহীদুল্লাহ মৃত্যু বরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে ০৬ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামী করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৪৮, তারিখ- ১৮ডিসেম্বর ২০২১ ইং, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড-১৮৬০।
৩। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত মামলার এজহারনামীয় অন্যতম পলাতক আসামী মিশাল আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন বিএসআরএম ফ্যাক্টরীতে আত্মগোপন করে রয়েছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৩ মার্চ ২০২২ ইং তারিখ আনুমানিক ১৬০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসমী মিশাল (২৮), পিতা-হাসান আলী, সাং-উত্তর মালিভিটা, থানা-দক্ষিন কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামী অকপটে স্বীকার করে যে, সে উক্ত মামলার এজাহার নামীয় আসামী এবং ঘটনার পর হইতে সে পলাতক রয়েছে।
৪। ঘটনার প্রতিপৃষ্ঠে জানা যায় যে, নিহত মুক্তিযুদ্ধা শহীদুল্লাহ এর সাথে আসামীদের দীর্ঘদিন যাবৎ ডিস লাইনের বিল নিয়ে বিরোধ ছিল। আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ শহীদুল্লাহ এবং তার ভাগিনা ও নাতীদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করে আসছিল। ঘটনার দিন শহীদুল্লাহ তার ভাগিনা এবং নাতিদের নিয়ে আব্দুল্লাহপুর স¦দেশ হাসপাতালে তাদের একজন অসুস্থ্য আত্মীয়কে দেখতে যান। হাসপাতালের ৩য় তলায় যখন তারা পৌছান তখন হঠাৎ আসামীরা সেখানে এসে শহীদুল্লাহ এবং তার ভাগিনা ও নাতীদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে এবং এক পর্যায়ে দেশীয় ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে তাদের আক্রমণ করে। এতে ভিকটিমের ভাগিনা এবং নাতিরা আহত হন এবং ভিকটিম গুরুতর আহত হন এবং পরবর্তীতে মৃত্যু বরণ করেন। মূলত আসামীরা পরিকল্পিত ভাবেই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে বলে প্রতীয়মান হয়।
৫। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।