তানোরে কৃষকের বোরোখেতের  ধান লুট

তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে পুর্ববিরোধের জের ধরে নিরহ কৃষকের বোরোখেতের ধান লুটের অভিযোগ উঠেছে। এদিন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেও ধান লুট ঠেকাতে পারেনি। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত ২মে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) হাপানিয়া দোগাছী গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৪মে বৃহস্প্রতিবার সইবুর রহমান বাদি হয়ে দুরুল হুদাসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার বাধাইড় ইউপির হরিসপুর মৌজায়, আরএস খতিয়ান নম্বর ৮২ এবং ৮৬৫  দাগ নম্বর দাগে ৩ একর ২৩ শতক সম্পত্তির মালিক আব্দুর রশিদের  দুই কন্যা নাজিয়া জেরিন ও তাসনুতা সোনীয়া। ঢাকা  মালিবাগ শান্তিনগরে তারা বসবাস করেন। বিগত ২০২২ সালের ৬ জুলাই তাদের দুই বোনের কাছে থেকে তানোর সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে রেজিষ্ট্রি দলিলের মাধ্যমে এসব সম্পত্তি ক্রয় করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের  আলহাজ্ব সাইদুর রহমানের পুত্র সইবুর রহমান দিগর। তাদের কাছে থেকে নাচোল উপজেলার খড়িবাড়ী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র মিজান আলী এসব সম্পত্তি বর্গা নিয়ে বোরো ধান চাষ করেন। ধান পাকার পর  ধানকেটে শুকানোর জন্য খেতে রাখা হয়। কিন্ত্ত হাপানিয়া-দোগাছী গ্রামের মৃত ফিরোজ মাষ্টারের পুত্র ভুমিগ্রামী দুরুল হুদা, দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত বহিরাগত ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে মঙ্গলবার দিবারত রাতে প্রায় ৫ বিঘা জমির কাটা ধান লুট করে নিয়ে যায়। যাবার সময় ঘোষণা দেয় এই জমিতে এবার যারা আসবে তাদের গর্দান কাটা যাবে। খড়সহ এসব ধানের মুল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা।অথচ এসব সম্পত্তির সঙ্গে দুরুলের কোনো সম্পৃক্ততা নাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুমিগ্রামী দুরুল হুদার নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টা থেকে ভোর পর্যন্ত ধান নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ৯৯৯ নম্বর ফোন করা হলে মুন্ডুমালা পুলিশ ফাঁড়ির দারোগা মতিউর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন। কিন্ত্ত তার উপস্থিতিতে দুরুল বাহিনী ধান লুট করে নিয়ে গেলেও, অজ্ঞাত কারণে  তিনি কোনো বাধা না দিয়ে নিরব ভূমিকা পালন করেন। এঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।দুরুল বাহিনীর দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে দুরুল হুদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি তার হিস্যার দেড় বিঘা জমির ধান কেটে নিযে গেছেন, যেটা দারোগা মতিয়ার স্যার জানেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে এসআই মতিয়ার হোসেন বলেন,  ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়ায় তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তার উপস্থিতিতে দুরুল বাহিনী ধান নিয়ে গেছে বলে অনেকে বলছে  এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনি কেমন সাংবাদিক  কি আজে বাজে  প্রশ্ন করেন , আমি দুরুল বাহিনীর কাউকে চিনি না। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে, ইন্ডোজ করে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র পাঠানো হবে।#
Exit mobile version