তানোরে ধর্ষণের ঘটনা ধাঁমাচাঁপার চেষ্টা

ভিকটিম পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) শাহাপুর গ্রমের জনৈক ব্যক্তির কন্যাকে (১৪) বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান,শাহাপুর গ্রামের খাতের প্রামানিকের পুত্র পলাশ প্রামানিক (২৮) ও তার বন্ধু আজিজের পুত্র শামিম বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে এতে ওই কিশোরী অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে।  গ্রামবাসী জানায়, এমতাবস্থায় পলাশ, সামিম, একরামুল ও শফিকুল ইসলাম যোগসাজশ করে ঘটনা ধাঁমাচাপা দিয়ে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে ঘটনা গোপণ করে তড়িঘড়ি ওই কিশোরীর বাল্য বিয়ে দেয় গোদাগাড়ী উপজেলার মাকরান্দা গ্রামে।এদিকে বিয়ের পর ঘটনা জানাজানি হলে ওই কিশোরীকে শশুরবাড়ী থেকে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। অন্তঃস্বত্তা ওই কিশোরী এখন শাহাপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। কিন্ত্ত অপকর্মকারীরা সমাজের প্রভাবশালী হওয়ায় ভিকটিম আইনের আশ্রয় নিতে পারছে না। এমনকি এনিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়া হয়েছে। শফিকুল ও একরামুলের মদদে তারা ভিকটিম পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে।

ফলে ভিকটিম থানায় অভিযোগ করতে পারছেন না, ভিকটিম পরিবার লিগ্যাল এইড ও মানবাধিকার সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদে(ইউপি) বিচার প্রার্থী হলে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বিচার না করে ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দিয়ে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, যেহুতু মেয়ে ঘটনার জন্য পলাশ ও সামিম দু’জনের নাম করেছে, সেহুতু সন্তান প্রসবের পর ডিএনএ টেষ্টের পর বিচার করা হবে। এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, এবিষয়ে তারা কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #
Exit mobile version