তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন ও সমাবেশ
রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি: তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর পার্কমোড় চত্ত্বরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিভারাইন পিপল ক্লাব এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সংগঠনের আহ্বায়ক ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্তের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রিভারাইন পিপলের পরিচালক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ। অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ, জীববৈচির্ত্য তথা রংপুরের কৃষিনির্ভর অর্থনীতির স্বার্থে তিস্তার ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে পানি পাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তিস্তা উত্তরের জীবনরেখা। ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহারের কারণে তিস্তার এখন মরণদশা। মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক খাইরুল ইসলাম পলাশ, রিভারাইন পিপলের তিস্তা সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মঞ্জুর আরিফ, শালমারা নদী সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক শাহ জালাল, দুধকুমার নদী সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক গ্রিন ইকোর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সঞ্জয় চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নদী সংগঠক আরিফুজ্জামান আরিফ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙঘন করে একতরফাভাবে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানি প্রত্যাহার করছে। তিস্তার উজানে ভারতের গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে পানি সরিয়ে নেওয়ার কারণে উত্তরবঙ্গ এখন মরুভূমির পথে। ভারতের পানি আগ্রাসনের কারণে এ অঞ্চলের প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ বিপন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রমত্ত তিস্তা ধু ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার মৎস্যজীবী, মাঝি বেকার হয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করার দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরর শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন নদী সংগঠনের সংগঠকরা অংশগ্রহণ করেন।
ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারি
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। একই সঙ্গে সুপারিশ পেশ...