——————————————————————————-
প্রতিদিন নূনতম ২ জন লোকের জন্য ইফতারির প্যাকেট নিজ হাতে প্রস্তত করে দুই বোন গেইটের বাহিরে গিয়ে বৃদ্ধ মানুষের হাতে ইফতার তুলে দেন । আমার ২ মেয়েদের এই কাজে তাদের মা উৎসাহ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া আমার মা বেশীরভাগ সময় আমার বাসায় থাকতেন। রমজান আমার বাসায় কাটাতেন । আজ উনি দুনিয়াতে নেই। উনার পিছনে যে খরচটুকু হতো তার একটি অংশ রমজানে গরীবদের মাঝে বিতরণ করার উদ্যোশেও আছে। আজ শুক্রবার তাই ১০ জনের মাঝে ইফতার বিতরণের জন্য প্রস্তত করা হয়েছে । ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ছবি তুলতে গেলে দু’বোন রাজি হচ্ছিল না। একরকম জোর করেই ছবি তুললাম।
ছবি তোলার পিছনে একটি কারণ হলো মেয়েদের প্রতিদিনের এই কাজ দেখে আজ আমাদের বিল্ডিং এর কয়েকজন আমাকে বললেন, এটি খুবই ভালো একটি কাজ। উনারাও এখন থেকে বাচ্চাদের দিয়ে ইফতার বিতরণ করাবেন এতে বাচ্চারা ভালো কিছু শিখবে। এসব ভালো কাজ দেখে আরেকজন উৎসাহিত হয়। তাই ছবি পোস্ট করলাম ।
রমজানের আগে ১১০ জন অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি এতে কেউ কেউ নেগেটিভ মন্তব্য করলেও বেশিরভাগ মানুষ উৎসাহ দিয়েছেন। দু’একজন আমার মাধ্যমে গরীবদের সাহায্য করবেন বলে যোগাযোগ করেছেন। এর আগে একজন গরীব মেয়ের পড়াশোনার খরচের জন্য ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর সুদূর কানাডা থেকে এক বন্ধু টাকা পাঠিয়েছে। এখন বেশ কয়েকজন গরীব ছাএ-ছাএীর পড়াশোনা চলে আমার পরিবারের এবং পরিচিত কয়েকজনের সহযোগিতায়।
আমার জানামতে ব্যারিস্টার সুমন তাঁর এলকায় ৫২ টি ব্রীজ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে মানুষের সহযোগিতা নিয়ে। চট্টগ্রামের রাউজানের একজন সংসদ সদস্যের সন্তান দেশে ছাড়াও তুরস্কের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে সবার সহযোগিতা নিয়ে প্রচুর দান করেছেন। সিলেটের বন্যায় অসহায় মানুষের জন্য অনেক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফান্ড কালেকশন করে বহু মানুষের ঘর তৈরি ও মেরামত করে দিয়েছেন। সওয়াবের বিষয়টি নিয়তের উপর আল্লাহ দিয়ে থাকেন।
তাই সার্ফএক্সেল এর বিজ্ঞাপনের মতো, দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয় তাহলে দাগই ভালো। প্রচারের মাধ্যমে যদি ভালো কিছু হয়, মানুষের কল্যানে অধিক কাজ করা যায় তাহলে প্রচারই ভালো। তবে কোন অবস্থায়ই দান গ্রহণকারীর ছবি পোস্ট করা উচিত নয়।
