দিনাজপুরে এইচপিভি ভ্যাকসিনেশন প্রচার ক্যাম্পেইন সমন্বয় সভায় বক্তারা এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন

জিন্নাত হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী অথবা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের জন্য এই টিকার কার্যক্রম সফল করতে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) ভ্যাকসিনেশন প্রচার ক্যাম্পেইন-২০২৪ দিনাজপুর জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর-২০২৪) জেলা প্রশাসন কার্যালয় মিলনায়তনে দিনাজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) ভ্যাকসিনেশন প্রচার ক্যাম্পেইন-২০২৪ দিনাজপুর জেলা সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সোহাগ চন্দ্র সাহা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুশফিকুর রহমান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শাহ্ মুহাম্মদ শরীফ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এম ও সিএস ডাঃ কাওসার আলম, এসআইএমও ডাঃ মো. আল মমিন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র হেলথ এডুকেশন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) ভ্যাকসিনেশন প্রচার ক্যাম্পেইন-২০২৪ দিনাজপুর জেলা সমন্বয় সভায় বক্তারা বলেন, এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন। বৈশ্বিকভাবে সাধারণত নারীরা যে সকল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তার মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার (সার্ভিক্যাল ক্যান্সার) চতুর্থ সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের নারীদের ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২০ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্বে ছয় লক্ষাধিক নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, যার মধ্যে প্রায় তিন লক্ষ্য মৃত্যুবরণ করেন। এর প্রায় ৯০ ভাগ মৃত্যুই বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ঘটে থাকে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে। জরায়ুমুখ ক্যান্সারের চিকিৎসাও অত্যন্ত ব্যয়বহুল। দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে এই ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি নারী প্রাণ হারান। বাংলাদেশে প্রতি এক লক্ষ নারীদের মধ্যে ১১ জন জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রতি বছর প্রায় ৪,৯৭১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেন।
সমন্বয় সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, জেলার সকল উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেন। ##

 

Exit mobile version